শেষ আপডেট: 21st February 2024 10:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মধ্য প্রদেশে কমলনাথ এখনও নিজের মুখে বিজেপিতে যোগদানের সম্ভাবনা খারিজ করেননি। যদিও ঘনিষ্ঠদের মুখ দিয়ে বলিয়েছেন, সব গুজব। কংগ্রেস অবশ্য তাঁকে ধরে রাখতে মরিয়া।
মধ্য প্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দলবদলের এই জল্পনার মধ্যেই আলোচনায় এসেছে নবজ্যোত সিং সিধুর নাম।
পাঞ্জাব কংগ্রেস ও বিজেপি সূত্রে খবর, এই প্রাক্তন ক্রিকেট তারকার দল বদলের সম্ভাবনা ক্রমেই জোরদার হচ্ছে। বিজেপিতে সিধুর 'ঘর ওয়াপসি' সময়ের অপেক্ষা বলে পদ্ম ও হাত শিবিরের নেতারা নিশ্চিত। পাঞ্জাব বিজেপির অন্যতম নেতা শোমদেব শর্মা জানিয়েছেন, সিধুর সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি আগের দলে ফিরতে চান। আমরা তাঁকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে চাই।
সিধুকে নিয়ে আলোচনার মধ্যেই সামনে এসেছে আর এক ক্রিকেট তারকা যুবরাজ সিংহের নাম। তাঁকে পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে প্রার্থী করার ভাবনা আছে পদ্ম শিবিরের। সেখানকার বর্তমান সাংসদ চিত্রতারকা সানি দেওলকে নিয়ে দল বিরক্ত। এলাকার সঙ্গে তাঁর কোনও সম্পর্ক নেই।
সিধুকেও লোকসভায় প্রার্থী করার ভাবনা আছে বিজেপির। তাঁকে অমৃতসরে টিকিট দেওয়া হতে পারে।
কমলনাথের মতো সিধুও রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর ঘনিষ্ঠ। গত বছর খুনের মামলায় সাজা শেষে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। জেলে ভদ্র আচরণের জন্য তাঁর সাজার মেয়াদ প্রায় তিন বছর কমে।
কিন্তু কংগ্রেস মহলের খবর, জেল থেকে বেরিয়েই সমূর্তি ধারণ করেছেন। কথায় কথায়, দলের নেতাদের মুণ্ডপাত করছেন। ফলে রাজ্য নেতাদের পাশাপাশি কংগ্রেস হাইকমান্ডও তাঁর উপর বিরক্ত। সিধু দল ছাড়লে মঙ্গল, একান্তে বলছেন অনেক কংগ্রেস নেতাই।
অন্যদিকে, পাঞ্জাব বিজেপির বর্তমান সভাপতি সুনীল ঝাখরের সঙ্গে সিধুর সুসম্পর্ক রয়েছে। সুনীল এক সময় প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে তিনি পদ্ম শিবিরের প্রভাবশালী নেতা। ফলে সিধুর বিজেপিতে যাওয়ার পথ পরিষ্কার।
যদিও পদ্ম শিবিরেও তাঁকে নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। আচার-ব্যবহারের কারণে সিধুকে অনেকেরই পছন্দ নয়। কিন্তু লোকসভায় চারশো আসনের স্বপ্ন পূরণে বিজেপি আপাতত বাছবিচারে যাচ্ছে না।