শেষ আপডেট: 2nd January 2025 10:29
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে মাস খানেক আগের বিধানসভা ভোটে অন্যতম আলোচ্য ছিল কাকা-ভাইপোর এনপিসি-র লড়াই। ভোট মিটতেই দুই দল ফের কাছাকাছি আসছে বলে খবর। কাকা শরদ পাওয়ার এবং ভাইপো অজিতের এনসিপি মিশে যাবে কি না তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময়ের সুবাদে দু’জনের দীর্ঘ সময় ফোনালাপের পর।
কাকা-ভাইপোকে মিলিয়ে দিতে সক্রিয় হয়েছেন অজিতের মা তথা শরদের বৌদি আশা পাওয়ারও। বুধবার বর্ষবরণের দিন তিনি গিয়েছিলেন মন্দির শহর পান্ধারপুরে। সেখানে বিথল-রুক্মণী মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর সাংবাদিকদের আশা বলেছেন, নতুন বছরে কাকা-ভাইপোকে পাশাপাশি দেখতে চাই। দেবতার কাছে এটুকুই প্রার্থনা করলাম।
বুধবার রাতেই অজিত পাওয়ারের এনসিপি-র শীর্ষ নেতা প্রফুল প্যাটেল বলেছেন, ‘শরদ পাওয়ার আমাদের কাছে দেবতাসম। তাঁকে আমরা সকলে শ্রদ্ধা করি। পাওয়ার পরিবার যদি মিলে যায়, তার চেয়ে ভাল কিছু আর হতে পারে না। আমি নিজেকে পাওয়ার পরিবারেরই একজন মনে করি।’
অজিতের মা এবং প্রফুল প্যাটেলের বক্তব্য শোনার পর এনসিপি-র দুই শিবিরের নেতা-মন্ত্রী-এমএলএ-এমপি’রা বিভেদ ভুলে হাত মেলানোর ডাক দিয়েছেন। অজিতের পা আশার কথাই প্রতিধ্বনী শোনা হিয়েছে অনেকের বক্তব্যে। আশা বলেছেন, নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। এখন আর লড়াই কীসের। এখন দুই এনসিপি এক হয়ে যাক।
বিধানসভা ভোটে দুই এনসিপি-র শক্তি পরীক্ষায় কাকা শরদকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন অজিত। নির্বাচন কমিশন ভাইপোর এনসিপি-কেই মূল দল বলে আগেই স্বীকৃতি দিয়েছিল। অজিতের দলের বিধায়ক সংখ্যা ৪১। অন্যদিকে, বড় ধাক্কা খেয়েছেন কাকা তথা এনসিপি-র প্রতিষ্ঠাতা শরদ পাওয়ার। তাঁর দল (এনসিপি-শরদ পাওয়ার) মাত্র দশটি আসন পেয়েছে।
বিভেদ ভুলে শরদ ও অজিতের কাছাকাছি আসার ভাবনা ভাবিয়ে তুলেছে সরকারের প্রধান শরিক বিজেপি এবং মেজো শরিক একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে। অজিত মহারাষ্ট্র সরকারের উপমুখ্যমন্ত্রী। আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী শিন্ডের শিবসেনার দখলে আছে ৫৬ আসন। দুই এনসিপি মিলে গেলে শিবসেনার সঙ্গে তাদের ফারাক কমে হবে মাত্র পাঁচ। ফলে দর কষাকষিতে অজিত বাড়তি সুবিধা পেয়ে যাবেন। দুই এনসিপি মিশে গেলে সরকার ও জোটের সমীকরণ নিয়ে তাই ভাবতে হচ্ছে বিজেপিকেও।
অন্যদিকে, কাকা-ভাইপোর দল মিশে গেলে ধাক্কা খাবে বিরোধী জোট মহা বিকাশ আগারিও। যদিও উদ্ধব ঠাকরেও আপাতত একলা চলার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছেন বলে রাজনৈতিক মহলের খবর। স্বভাবতই বিরোধী জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে।