শেষ আপডেট: 31st July 2024 15:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ওয়ানাডে ধস-বিপর্যয় মোকাবিলায় কেরল সরকারের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকার কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে বলে রাজ্যসভায় দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই সঙ্গে বুধবার ওয়ানাড-বিপর্যয় নিয়ে বিবৃতিতে তিনি আরও দাবি করেন, গত ২৩ জুলাই কেরল সরকারকে বৃষ্টি এবং ধস নিয়ে সতর্ক করা হয়েছিল। তিনি জানান, ওই দিনই এনডিআরএফ বা জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর নয়টি টিমকে কেরলে পাঠানো হয়। ২৩ জুলাইয়ের পর আরও তিনদিন সতর্ক করা হয় রাজ্য প্রশাসনকে। নির্দিষ্টভাবে ওয়ানাডে বিপর্যয়ের সম্ভাবনার কথাও বলা হয়।
এদিকে, সরকারিভাবে জানানো হয়েছে ধসে এখনও পর্যন্ত ১৮২ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আহত বহু। কেরল সরকার বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজ্যে শোক দিবস পালন করছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন রাজ্যবাসীর উদ্দেশে বলেছেন, যেভাবে আমরা সম্মিলীতভাবে ২০১৮ সালের বন্যার মোকাবিলা করেছিলাম, একইভাবে ওয়ানাডেরও পুনর্নির্মাণ করা হবে।
ওয়ানাডে মৃতদের অনেকেই কর্নাটকের বাসিন্দা। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া তাঁদের পরিবার পিছু পাঁচ লাখ টাকা করে এককালীন ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে।
রাজ্যসভায় আজ একাধিক সদস্য ওয়ানাডের ঘটনা নিয়ে সরব হন। বিরোধী সদস্যদের কেউ কেউ অভিযোগ করেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে দেশবাসীকে আগাম সমর্ত করার ব্যবস্থা কেন্দ্র এখনও গড়ে তুলতে পারেনি। এটা দুর্ভাগ্যের।
শাহ জবাবে বলেন, কেন্দ্র আগাম সতর্ক করে বলেই অনেক রাজ্য প্রাণহানি আটকাতে সক্ষম হয়। এই ব্যাপারে ওডিশাকে দৃষ্টান্ত করেন তিনি। শাহ বলেন, নবীন পট্টনায়েক মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় ওড়িশা সরকারকে একটি ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের বিষয়ে কেন্দ্র আগাম সতর্ক করেছিল। রাজ্য সরকার সতর্কতা মেনে লোকজনকে সরিয়ে নেয়। ফলে মাত্র একজন ঝড়ের বলি হয়েছিলেন। শাহ সরাসরি কেরল সরকারের সমালোচনা না করলেও ঘুর পথে বলেছেন, রাজ্য প্রশাসন ওয়ানাডের মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে নিলে এত প্রাণহানি আটকানো যেত।