শেষ আপডেট: 18th March 2025 19:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাঞ্জাবের মোহালিতে একটি মোমো তৈরির কারখানায় অভিযান চালিয়ে ফ্রিজ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে কুকুরের কাটা মুণ্ডু। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে। অভিযোগের ভিত্তিতে পৌর কর্পোরেশনের মেডিকেল টিম ও স্বাস্থ্য দপ্তর যৌথভাবে অভিযান চালায়। সন্দেহ করা হচ্ছে, ওই কারখানায় মোমো তৈরির জন্য অবৈধভাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করা হত। তবে এখনও বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।
মোহালির সহকারী খাদ্য নিরাপত্তা কমিশনার ডঃ অমৃত ওয়ারিং জানিয়েছেন, অভিযানের সময় মোমো কারখানার ফ্রিজ থেকে পচা মাংস ও কুকুরের মাথার মতো দেখতে কিছু উদ্ধার করা হয়েছে। সন্দেহজনক মাংসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পশুচিকিৎসা বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, কারখানায় উৎপাদিত মোমো, স্প্রিং রোল এবং চাটনির নমুনাও পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
অভিযানের সময় কারখানার ভেতর থেকে হিমায়িত পচা মাংস ও একটি পেষণকারী (ক্রাশার) মেশিন উদ্ধার হয়েছে। রবিবার ও সোমবার, জেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার (ডিএইচও) নেতৃত্বে মাতাউর (মোহালি) ও আশপাশের এলাকায় একাধিক অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানে বিপুল পরিমাণ অস্বাস্থ্যকর খাবার, নোংরা রান্নার সামগ্রী ও পচা শাকসবজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং কারখানার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবি জানান। অভিযুক্ত কারখানার শ্রমিকদের বক্তব্য, ফ্রিজে পাওয়া মাথাটি মোমো তৈরিতে ব্যবহার করা হয়নি, বরং তা ব্যক্তিগত খাবারের জন্য সংরক্ষিত ছিল। জানা গেছে, এই কারখানাটি মূলত নেপালের কিছু বিক্রেতা পরিচালনা করছিলেন।
মোহালির সিভিল সার্জন ডঃ সঙ্গীতা জৈনা জানিয়েছেন, ঘটনাটি অত্যন্ত গুরুতর এবং তদন্ত চলছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে, যেসব কারখানা অবৈধভাবে পরিচালিত হচ্ছে ও যেখানে খাদ্য নিরাপত্তার নিয়ম মানা হচ্ছে না, তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কারখানায় অবৈধভাবে কুকুরের মাংস ব্যবহার করে মোমো ও অন্যান্য খাবার তৈরি করা হতো। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় বিপদের ইঙ্গিত। প্রশাসন জানিয়েছে, অভিযুক্ত কারখানার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং এই ধরনের ঘটনা রুখতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে।