শেষ আপডেট: 10th August 2024 12:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আরজিকরে কতর্ব্যরত ডাক্তারি পড়ুয়াকে নৃশংসভাবে খুনের ঘটনায় তোলপাড় সারা দেশের চিকিৎসক সংগঠনে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে অবিলম্বে সারা দেশের প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা আইন লাগু করার দাবি তুলেছে ন্যাশনাল মেডিক্য়াল অর্গানাইজেশন।
সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক সংগঠনের তরফে শনিবার এব্যাপারে দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এই দাবির কথা জানানো হয়েছে। চিকিৎসকদের অপর আরেকটি সংগঠন রেসিডেন্ট ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে মহিলা চিকিৎসকদের শুধু দিনে ডিউটি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে আরজিকরের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছে PGIMER এর চণ্ডীগড়ের চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১২ সালে রাজধানী দিল্লির চলন্ত বাসে একটি মেয়েকে ধর্ষণ এবং হত্যা করা হয়েছিল। আরজিকরের ঘটনা তার চেয়েও নৃশংস বলে দাবি চিকিৎসকদের একাধিক সংগঠনের। তাঁদের কথায়, আরজিকরে যা ঘটল, তারপরে তো চিকিৎসকদের কাছে তাঁদের কর্মস্থলও নিরাপদ নয়। মেয়েটি ডিউটিতে থাকাকালীন এঘটনা ঘটেছে।
প্রসঙ্গত, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এখনও প্রকাশ্যে না এলেও পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, মৃত ডাক্তারি ছাত্রীর যৌনাঙ্গ-সহ দেহের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রাথমিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতেই খুন ও ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেফতারও করা হয়েছে এক অভিযুক্তকে।
কিন্তু চিকিৎসক সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ ঘটনা রাতারাতি ঘটেনি। দীর্ঘদিন ধরেই নিরাপত্তায় গলদ ছিল। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, তদন্তে সম্ভাব্য সবদিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আরজিকরের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি। এদিকে ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের কঠোর শাস্তি ও নিরাপত্তা চেয়ে কলকাতা মেডিক্যাল, ন্যাশানাল মেডিক্যাল, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ, শিশুমঙ্গল-সহ রাজ্যের একাধিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্মবিরতি শুরু করেছেন ডাক্তারি পড়ুয়া ও জুনিয়র চিকিৎসদের একাংশ।