শেষ আপডেট: 25th December 2024 19:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: অবিবাহিত ছেলেদের টার্গেট করে বিয়ে করা, তারপর তাদের থেকে টাকা, গয়না লুট... দুজন তরুণীর জন্য রোজকারের ব্যাপার ছিল এটাই। এই চক্রে জড়িত ছিল দুই পুরুষও। সকলকেই গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে পুনম মিশ্র নামের এক তরুণী ৬ জনকে বিয়ে করেছিল। সপ্তমবারের মাথায় সে ধরা পড়েছে।
পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে, পুনম কনে সাজতো এবং সঞ্জনা গুপ্তা নামের অন্য এক তরুণীকে নিজের মা সাজাতো। অন্যদিকে বীমলেশ ভার্মা এবং ধর্মেন্দ্র প্রজাপতি নামের দুই যুবক অবিবাহিত ছেলেদের খুঁজত। কাউকে খুঁজে পেলেই ডেটিং অ্যাপের নাম করে প্রথম পুনমের সঙ্গে তাঁর আলাপ জমাতো তারা। এরপর দুজনের 'সম্পর্ক' ঠিক হয়ে গেলে ছেলেটির থেকে ঘটকালি করার জন্য টাকা নিত বীমলেশরা।
এরপর শুরু হত আসল খেলা। পুনম নিজে থেকেই তাঁদের বিয়ের প্রস্তাব দিত। তারপর কৌশলে ছেলেটিকে রাজি করিয়ে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করত। শ্বশুরবাড়িতে চলে যাওয়ার পর কিছুদিন চুপচাপই থাকত পুনম। তবে তারপর সুযোগ পেয়ে বাড়ি থেকে নগদ টাকা, সোনার গয়না চুরি করে পালাত সে।
এইভাবে ৬ বার এমন ঘটনা ঘটিয়ে পুনম সপ্তমবার ধরা পড়ে পুলিশের জালে। এবার শঙ্কর উপাধ্যায় নামের এক ব্যক্তি পুনমের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, দুই ব্যক্তি তার থেকে ১.৫ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন বিয়ের খরচের জন্য। এই টাকার অঙ্ক দেখেই সন্দেহ হয় তাঁর। পরে পুনমদের সঙ্গে দেখা হলে তাদের আধার কার্ড চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তারা তা দিতে পারেননি।
শঙ্কর জানান, তিনি পুনমকে জানিয়েছিলেন বিয়ে করতে পারবেন না। এরপরই নাকি তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। পাশাপাশি এও বলা হয়, ভুয়ো মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে। পুলিশকে শঙ্কর জানিয়েছেন, বিষয়টি তখন সামলে নিয়ে তিনি বলেছিলেন ভাবার সময় লাগবে। এরই মধ্যে পুলিশে অভিযোগ করেন তিনি।
কদিন আগে উত্তরাখণ্ডের বাসিন্দা সীমা ওরফে নিক্কিকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার বিয়ে করে তারপর ডিভোর্স চেয়ে খোরপোষের নামে মোটা টাকা হাতানোর অভিযোগ রয়েছে। প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এইভাবে জালিয়াতি করেছে সে।