জম্মু-কাশ্মীরের উপ রাজ্যপাল মনোজ সিনহা
শেষ আপডেট: 11th April 2025 12:15
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) উপ রাজ্যপাল (Lieutenant Governor) মনোজ সিনহার (Manoj Sinha) আদেশে ৮০ জন সরকারি কর্মচারীকে চাকরি থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের (intelligence inputs) ভিত্তিতে উপ-রাজ্যপাল এই আদেশ জারি করেছেন বলে সরকারি সুত্রে জানানো হয়েছে। ওই সরকারি কর্মীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে স্পর্শকাতর তথ্য পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীকে (terrorist group close to Pakistan) দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ আইনে এই জাতীয় অভিযোগের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার বিধান নেই। সরকারি বরখাস্তের চিঠি ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে এর আগে ৭৯জনকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও দুটি নাম। সরকারি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী বরখাস্ত কর্মচারীদের একজন বশির আহমেদ মির জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট ওয়ারলেস অপারেটর। অন্যজন ইস্তিয়াক আহমেদ মালিক। তিনি ছিলেন রোডস অ্যান্ড বিল্ডিং বিভাগের সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট। প্রশাসনের উচ্চতম মহলের নির্দেশে দু’জনের গতিবিধির উপর সর্বক্ষণ নজরদারি চালাচ্ছিল গোয়েন্দারা। তারা গুরুত্বপূর্ণ সরকারি তথ্য উগ্রবাদীদের কাছে পৌঁছে দেয় নিশ্চিত হওয়ার পর চাকরি থেকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েক করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে।
পুলিশের ওয়ারলেস অপারেটর হওয়ায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা সংক্রান্ত গোপন খবরাখবর জানার সুযোগ ছিল বশির আহমেদের মিরের। তাঁর সঙ্গে পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনের যোগাযোগের প্রমাণ মিলেছে।
জম্মু-কাশ্মীরে বর্তমানে নির্বাচিত সরকার রয়েছে। ন্যাশনাল কনফারেন্সের সহ-সভাপতি ওমর আবদুল্লার নেতৃত্বে গত বছর সরকার গঠনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পাঁচ বছরের রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান হয়। তবে পূর্ণাঙ্গ রাজ্য না হওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর হাতে সব ক্ষমতা নেই। সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, সাজা দেওয়ার মতো বিষয়গুলি উপ-রাজ্যপালের হাতে ন্যস্ত। পূর্ণাঙ্গ রাজ্য নয় বলেই সেখানে রাজ্যপালের পরিবর্তে উপরাজ্যপাল দায়িত্বে।