শেষ আপডেট: 21st October 2024 14:58
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতীয় সংবিধানের অ-সংশোধনীয় এবং অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হচ্ছে ধর্মনিরপেক্ষতা। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট ফের একবার তার আগের বক্তব্যেই অটল থাকল। ১৯৭৬ সালের ৪২-তম সংবিধান সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আনা একটি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এদিন এই পর্যবেক্ষণ ছিল শীর্ষ আদালতের। সেবার সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন করে তাতে ধর্মনিরপেক্ষ ও সমাজতান্ত্রিক শব্দ দুটি সংযোজনা করা হয়।
প্রস্তাবনা থেকে পরবর্তীকালে সংযোজিত ওই শব্দ দুটিকে বাদ দেওয়ার জন্য একাধিক আর্জি জমা পড়ে সর্বোচ্চ আদালতে। এক্ষেত্রে কোনও নোটিস জারি করার দাবি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয় যে, নভেম্বরের দ্বিতীয় ধাপেই এ বিষয়ক রায় জানিয়ে দেওয়া হবে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও সঞ্জয় কুমারকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ এদিন বলে, ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি সংবিধানের মূল ভিত্তি হয়ে গিয়েছে এখন যা কোনও অবস্থাতেই আর অপরিবর্তনীয়। সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার ধারণাটি সময়ে সময়ে বিবর্তিত হয়েছে। আদালত এর আগেও বিভিন্ন রায়ে এই ধারণাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। দেশে অর্থনৈতিক উদারীকরণের পরেও সমাজতন্ত্র শব্দের গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে বলে পর্যবেক্ষণ সুপ্রিম কোর্টের।
বিচারপতি আরও বলেন, ফরাসি মডেলের ধর্মনিরপেক্ষতা নয়, ভারত নিজস্ব ধ্যানধারণার একটি ধর্মনিরপেক্ষ দেশ গঠন করেছে। শুনানির সময় বিচারপতি খান্না বলেন, আপনারা কি চান না ভারত ধর্মনিরপেক্ষ থাকুক? আবেদনকারী বলরাম সিংয়ের আইনজীবী বিষ্ণুশঙ্কর জৈন তার জবাবে বলেন, আমরা বলছি না যে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ নয়। আমরা সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছি।
তিনি আম্বেদকরের দৃষ্টান্ত টেনে বলেন, বাবাসাহেবও মনে করতেন সমাজতন্ত্র শব্দটি ব্যক্তিগত স্বাধীনতা খর্ব করতে পারে। তাঁর উত্তরে বিচারপতি খান্না বলেন, সমাজতন্ত্রের মানে সকলের জন্য সমান সুযোগ, সম্পদের উপর সমানাধিকার। পশ্চিমী সমাজতন্ত্রের সঙ্গে একে গুলিয়ে ফেললে চলবে না।