শেষ আপডেট: 22nd August 2024 13:34
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আর জি কর কাণ্ডে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে হাসপাতালের জুনিয়র আবাসিক ডাক্তারদের আইনজীবী গীতা লুথরা ডাক্তার-ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিন বলেন, আমার মক্কেলরা এখনও আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তখন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, কারা ভয় দেখাচ্ছে? যে ডাক্তাররা এই ঘটনার প্রতিবাদে মুখ খুলেছেন, তাঁদের টার্গেট করা হতে পারে। এই আশঙ্কায় ভয় পাচ্ছেন তাঁরা।
প্রবীণ আইনজীবী এর জবাবে বলেন, আধিকারিকরা, গুন্ডাদের হামলার ভয় রয়েছে। লুখরা তাঁর সঙ্গে যুক্ত করেন হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্তারা ছাত্রদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। হাসপাতালে আরও যারা থাকে তারাও হামলা করতে পারে। এর জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, ঠিক আছে। আমি এটা নজরে রাখছি।
জুনিয়র ডাক্তারদের অমানুষিক ডিউটি দেওয়া নিয়েও প্রধান বিচারপতি অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সর্বোচ্চ আদালতের কাছে আর্জি জানানো হয় তাঁরা যেন ডাক্তারদের পরিস্থিতি নিয়ে বিবেচনা করেন। বেঞ্চ স্বীকার করে যে, প্রত্যেক ডাক্তারেরই পরিবার-পরিজন আছে। বাড়ির প্রিয় মানুষটিকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এসে তাঁকে হাসপাতালের মেঝেতে শুইয়ে রাখতে হয়। ডাক্তারদের ৩৬ থেকে ৪৮ ঘণ্টা খাটানো হয়।
এত কিছু পরেও প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও মনোজ মিশ্রর বেঞ্চ বলে, আপনারা কাজে ফিরুন। তা না হলে সাধারণ মানুষ চিকিৎসা পাবেন কী করে? আপনারা কাজে ফিরলে কর্তৃপক্ষ যাতে আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিতে পারে, তা আদালত দেখবে। ডাক্তাররা কাজ না করলে জনস্বাস্থ্য পরিকাঠামো কীভাবে চলবে, বলে বেঞ্চ।