শেষ আপডেট: 4th November 2024 16:39
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কেন দিল্লিতে দেদার বাজি পুড়ল? সরকার ও পুলিশ কী করছিল? কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না? দিল্লির আম আদমি পার্টির সরকার ও পুলিশ কমিশনারের কাছে জরুরি জবাবদিহি তলব করল সুপ্রিম কোর্ট। নিষিদ্ধ বাজি পোড়ানো বন্ধ করতে ব্যর্থতার জন্য সোমবার ব্যাপক ভর্ৎসনা করে শীর্ষ আদালত। আদালত সকলকে সাবধান করে দিয়ে বলেছে, অন্ততপক্ষে পরের বছরের জন্য পরিকল্পনা তৈরি করুন।
এদিন সর্বোচ্চ আদালত দেওয়ালি উপলক্ষে বাজি নিষিদ্ধ নির্দেশকে উপেক্ষা করার দ্রুত জবাব দিতে বলেছে। বাজি নিষিদ্ধ করার ঘোষণা কেবলমাত্র খাতায়কলমেই রয়েছে বলে মনে করে আদালত। ফি বছর এই একই কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু, নিয়মমাফিক তা উপেক্ষাও করা হয়। যার ফলে রাজধানী এবং লাগোয়া এলাকা বিষ-ধোঁয়াশায় ঢেকে যায়।
সুপ্রিম কোর্ট সে কারণে আপ সরকার এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফতরের অধীন দিল্লি পুলিশকে তাড়াতাড়ি এই নির্দেশ উপেক্ষা করার জবাব দিতে বলেছে। এ বছর বাজি নিষিদ্ধ করার নির্দেশ কার্যকর করতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল? একইসঙ্গে আগামী দেওয়ালিগুলিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগ করতে কী পরিকল্পনা আছে, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং অগাস্টিন জর্জ ম্যাসি দিল্লির বায়ুদূষণ সংক্রান্ত মামলা চলাকালীন এই নির্দেশ দেন। বিচারপতিদের বেঞ্চ বলে, দিল্লি এবং এনসিআর এলাকায় বাজি নিষিদ্ধ করার কথা খুব ফলাও করে প্রতিবছর প্রচার করা হয়। কিন্তু তা প্রয়োগ করা হয় না। দূষণ কমাতে বাজি পোড়ানো বন্ধ হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ জানা সত্ত্বেও তা হয় না।
প্রসঙ্গত, সোমবার দিল্লির বায়ুদূষণের মান খুব খারাপ ক্যাটেগরিতে নেমে আসে। দেওয়ালি কেটে যাওয়ার চারদিন পরেও অসহনশীলতার ৫০০ পরিমাপকের মধ্যে ৪০০-র কাঁটা ছাড়িয়ে যায় আনন্দ বিহার, অশোক বিহার এবং বিবেক বিহার এলাকায় দূষণের মাত্রা খুবই বেশি ছিল। সুপ্রিম কোর্ট সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে এক সপ্তাহের মধ্যে জবাব দিতে বলেছে। এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আগামী ১৪ নভেম্বর।