শেষ আপডেট: 21st March 2024 19:36
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নির্বাচনী বন্ড নিয়ে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া যে তথ্য প্রথমে জমা দিয়েছিল তা অসম্পূর্ণ ছিল বলে জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বন্ডের ইউনিক নম্বর সহ সমস্ত তথ্য জমা এসবিআই-কে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই তথ্যই বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনে জমা দিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
স্টেট ব্যাঙ্ক সর্বপ্রথম নির্বাচনী বন্ড নিয়ে যে যে তথ্য নির্বাচন কমিশনকে দিয়েছিল তাতে কোন দিন বন্ড দেওয়া হয়েছে, কত টাকার দেওয়া হয়েছে, কতগুলি বন্ড ইস্যু করা হয়েছিল, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার কোন ব্রাঞ্চ থেকে বন্ড ইস্যু হয়েছিল, কোন কোন রাজনৈতিক দল সেই সব বন্ড থেকে টাকা তুলেছে, এই সব উল্লেখ ছিল। কিন্তু তাতে ইউনিক আলফানিউমেরিক নম্বর ছিল না। সেটা নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। গত সোমবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষকে স্পষ্টত জানিয়ে দিয়েছিল, বৃহস্পতিবারের মধ্যে সব তথ্য জমা দিতে হবে, কোনও তথ্য লুকিয়ে রাখা যাবে না। সেই নির্দেশ মেনেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সমস্ত তথ্য জমা দিল এসবিআই।
শীর্ষ আদালত যে 'ইউনিক নম্বর'-এর কথা বলছে, সেই নম্বর দাতা এবং রাজনৈতিক দলের যোগসূত্র করে দিতে ভূমিকা পালন করতে পারে। ফলে সেটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই নম্বর দাতাদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির সরাসরি লেনদেনের বিষয়টি সামনে আনবে। অর্থাৎ কোন দল কার থেকে কত টাকা পেয়েছে, তা জানা যাবে। আপাতত যে তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা গেছে, নির্বাচনী বন্ড থেকে সবথেকে বেশি লাভবান হয়েছে বিজেপি। ৬,৯৮৬.৫ কোটি টাকা পেয়েছে তাঁরা। ইতিমধ্য়েই এসবিআই-এর দেওয়া নির্বাচনী বন্ডের তথ্য নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
সুপ্রিম কোর্টের অন্তবর্তীকালীন নির্দেশ মেনে নির্বাচনী বন্ড সংক্রান্ত তথ্য জমা দিয়েছিল রাজনৈতিক দলগুলি। মুখবন্ধ খামে সেই তথ্য জমা দেওয়া হয়েছিল। গত রবিবার সেই তথ্যও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। তার আগে অবশ্য স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া সুপ্রিম কোর্টকে এক হলফনামায় জানিয়েছিল, ২০১৯ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মোট ২২ হাজার ২১৭টি বন্ড ইস্যু করা হয়েছে। এর মধ্যে ২২ হাজার ৩০টিই ভাঙিয়ে নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলি। বাকি ১৮৭টিও ভাঙানো হয়েছে এবং তার অর্থ জমা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে।