Advertisement
সঞ্জীব মুখিয়া।
Advertisement
শেষ আপডেট: 25 June 2024 11:43
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নালন্দা কলেজের নুরসরাই শাখায় টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট হিসেবে কর্মরত সঞ্জীব মুখিয়ার নাম সেই প্রথম দিন থেকে উঠে আসছে সর্বভারতীয় মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিট দুর্নীতির তদন্তে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মাস্টারমাইন্ড হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে তাকে। গত ৬ মে থেকে সে 'নিখোঁজ'।
কে এই সঞ্জীব মুখিয়া?
বিহার পুলিশ জানিয়েছে, বিহারের নালন্দা জেলার বাসিন্দা সঞ্জীবের আসল নাম সঞ্জীব সিং। এক সময়ে স্থানীয় পঞ্চায়েতের প্রধান ছিলেন তাঁর স্ত্রী মমতা। বিহার-উত্তরপ্রদেশে এই প্রধানকে বলা হয় মুখিয়া। সেই কারণেই সঞ্জীবের নামও 'মুখিয়া' হয়ে যায় মুখে মুখে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিধানসভা নির্বাচনে লোক জনশক্তি পার্টির টিকিটে লড়েছিলেন মমতাদেবী, তবে হেরে গিয়েছিলেন।
জানা গেছে, সঞ্জীবের ছেলে শিব ডাক্তার। তবে একাধিক প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের দুর্নীতির অভিযোগে তার বিরুদ্ধেও। বিহার শিক্ষক নিয়োগের প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় জেলে আছে সে। বাবা সঞ্জীবের নামও যে এই প্রথম কোনও পরীক্ষা-দুর্নীতিতে জড়াল, তা নয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আগেও নাম উঠে এসেছে সঞ্জীবের। ২০১৬ সালে গ্রেফতাও হয়েছিল সে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রশ্নফাঁসের মাস্টারমাইন্ড এই সঞ্জয় মুখিয়াই। তাদের এই গ্যাংকে 'মুখিয়া সলভার গ্যাং' হিসেবেই ডাকা হয়।
তদন্তে উঠে এসেছে, এক অধ্যাপকের থেকে ফোনে নিটের প্রশ্নপত্র পেয়েছিল সঞ্জয় মুখিয়া। তারপর ভাগ্নে রকিকে সেই প্রশ্নপত্র দিয়েছিল। ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের উত্তরপত্র সরবরাহ করার সঙ্গে জড়িত ছিল রকি। সেই উত্তরপত্রই কয়েক লাখ টাকার বিনিময়ে প্রার্থীদের দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্নপত্রের জন্য প্রত্যেক প্রার্থীর থেকে প্রায় ৪০ লাখ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল বলেও একটি সূত্রের খবর।
আগে একটি কৃষি কলেজে কাজ করত সঞ্জীব। কিন্তু সেখানেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের মামলায় জড়িয়ে গেছিল সে। সেই কারণে তাকে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল নালন্দা কলেজের নুরসরাই শাখায়। কিন্তু তার পরেও এত বড় দুর্নীতিতে ধরা পড়ল সে। যদিও সঞ্জীবের দাবি, তাকে নিট-মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। তবে তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই একের পর এক ফাঁস খুলছে সঞ্জীবের কীর্তির।
জানা গেছে, নিট পরীক্ষার এক দিন আগে ডাক্তারি পড়ুয়াদের পাটনা এবং রাঁচিতে লার্ন প্লে স্কুল অ্যান্ড বয়েজ় হস্টেলে নিয়ে আসে সঞ্জীব। সেখানেই পরীক্ষার্থীদের থাকার ব্যবস্থা করেছিলেন সঞ্জীব। সেখানেই তাঁদের প্রশ্ন এবং উত্তরপত্র বিলি করা হয় লাখ লাখ টাকার বিনিময়ে।
সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, সলভার গ্যাং-এর সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপে পরীক্ষার আগের দিন রাতে সলভ করা প্রশ্নপত্র চলে এসেছিল। সেটিই পরে একাধিকজনকে টাকার বিনিময় বিলি করা হয়। পুলিশ এও জানতে পেরেছে, অন্তত ২০০-র বেশি প্রশ্নপত্র পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকেই ৬৮টি প্রশ্নপত্র তারা উদ্ধার করতে পেরেছে।
Advertisement
Advertisement