শেষ আপডেট: 21st September 2024 12:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: তিরুপতি মন্দিরে প্রসাদী লাড্ডু এখন দোষমুক্ত। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম কর্তৃপক্ষ এক এক্সবার্তায় জানিয়েছে, ভক্তরা এখন নির্ভাবনায় এই লাড্ডু কিনতে পারেন। পশুর চর্বি ও মাছের তেল মেশানোর যে বিতর্ক ঘনিয়ে উঠেছিল, তা এখন আর নেই। সম্পূর্ণ নিরাপদ ও পবিত্রতা রক্ষা করা হয়েছে।
পোস্টে মন্দির কর্তৃপক্ষ বলেছে, শ্রীভরি লাড্ডু বা প্রসাদের বিশুদ্ধতা ও পবিত্রতা ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, লাড্ডু প্রসাদের দেবমহিমা রক্ষা করে ভক্তদের ভাবনামুক্ত করার ব্যাপারে তারা দায়বদ্ধ।
তিরুমালা পাহাড়ির উপর শ্রীবেঙ্কটেশ্বরস্বামীর মন্দির জগদ্বিখ্যাত। দেশের ধনীতম মন্দির তিরুপতি মন্দিরের প্রসাদ লাড্ডু প্রতিদিন লাখে লাখে তৈরি ও বিক্রি হয়। সেই লাড্ডু নিয়ে গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখন দেশজুড়ে টালমাটাল চলছে।
এই বিতর্কের মধ্যেই এক নতুন চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি মন্দিরের টেন্ডার তথ্য ঘি সংগ্রহ প্রক্রিয়ার দিকে আঙুল তুলছে। সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি হাতে আসা ওই তথ্য তুলে ধরে লিখেছে, ২০২৩ সালের অগস্ট থেকে ২০২৪ সালে জুলাই পর্যন্ত টিটিডি-র তরফে ঘি কেনার টেন্ডার প্রক্রিয়ার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে রহস্য। প্রসঙ্গত, ওই সময়ে রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল ওয়াইএসআর কংগ্রেস। যার মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন জগনমোহন রেড্ডি। উল্লেখ্য, বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু প্রথম যে আগুনে ঘি ঢেলেছিলেন।
টেন্ডার তথ্যের ৮০ নম্বর শর্তে বলা আছে, ঘি সরবরাহকারীকে প্রতিটি সরবরাহকৃত প্রতিটি চালানের সঙ্গে এনএবিএল এবং এফএসএসএআই স্বীকৃত পরীক্ষাগারের ছাড়পত্রের শংসা দিতে হবে। তেমনই ৮১ নম্বর শর্তে বলা ছিল, টিটিডি ঘিয়ের নমুনা ল্যাব টেস্টের জন্য পাঠাবে।
এতকিছু কঠিন শর্ত সত্ত্বেও ওই সময়ের মধ্যে সরবরাহ করা ঘি কেন টিটিডিতে পরীক্ষা না করেই ছাড় দেওয়া হল আর কেনই বা সরকারি সংস্থা স্বীকৃত পরীক্ষাগারের ছাড়পত্র পরীক্ষা করল না মন্দির কর্তৃপক্ষ? ইতিমধ্যেই টিটিডির এক্সিকিউটিভ অফিসার জানিয়েছেন, ঘি সরবরাহকারী সংস্থা এআর ডেয়ারি প্রোডাক্টসকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। যদিও ভেজাল মেশানোর কথা ওই সংস্থা নস্যাৎ করে দেয় অভিযোগ ওঠা মাত্র।