শেষ আপডেট: 30th November 2024 14:42
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত রবিবার উত্তরপ্রদেশের সম্ভল এলাকায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মৃত্যু হয় কয়েকজনের। শাহি জামা মসজিদের সমীক্ষার কাজ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটে। জখম হন বহু পুলিশ কর্মী। নাম জড়ায় সমাজবাদী পার্টির নেতার। মামলা ওঠে সুপ্রিম কোর্টে। জেলা প্রশাসনকে সম্ভলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রেখে শান্তি বজায় রাখতে বলে শীর্ষ আদালত। এই পরিস্থিতিতে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই এলাকায় বহিরাগতদের প্রবেশ নিষেধ। শনিবার সেখানে সমাজবাদী পার্টির ১৫ সদস্য়ের একটি দল পৌঁছায়। তাঁদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দিলেন সপা প্রধান অখিলেশ যাবদ।
সম্ভলে সংঘর্ষের ব্যাপকতা ঠেকাতে না পেরে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। কিছুদিন আগেই জেলাশাসক জানিয়ে দেন, 'ডিসেম্বরের ১০ তারিখ পর্যন্ত বহিরাগত, কোনও সংস্থা, সংগঠন বা জনপ্রতিনিধি বিনা অনুমতিতে ওই এলাকায় প্রবেশ করতে পারবেন না।' কিন্তু শনিবার সকালেই সমাজবাদী পার্টির ১৫ সদস্যের একটি দল ওই এলাকায় পৌঁছয়। তাঁদের প্রবেশ করতে না দেওয়ায় স্বভাবতই চটে যান দলের প্রধান।
শাসক দলকে আক্রমণ করে অখিলেশ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'এভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা সরকারের ব্যর্থতার পরিচয়। সরকার যে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ, প্রশাসন যে ব্যর্থ, তা স্পষ্ট। যদি এ ব্য়াপারে আগেই সরকার অবগত হত, স্লোগান দেওয়া লোকজন ও দাঙ্গা বাধানো লোকজনকে নিষিদ্ধ করত, তাহলে আজ এই পরিস্থিতি দেখতে হত না।'
এই ঘটনায় সরকারের বিরুদ্ধে চক্রান্তের অভিযোগ তোলেন অখিলেশ। সরকারি হস্তক্ষেপ বন্ধেরও দাবি জানান।
উত্তরপ্রদেশের বিরোধী দলনেতা মাতা প্রসাদ পাণ্ডে শনিবারের ১৫ সদস্যের দলে উপস্থিত ছিলেন। তিনিও এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেন। বলেন, 'প্রশাসনের তরফে আমাদের নোটিশ দেওয়া উচিত ছিল। আমাদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে। কিন্তু লিখিত কোনও নির্দেশ আমরা পাইনি। পেলে যেতাম না ওখানে। জাস্টিস কমিশন যাচ্ছে ওখানে, মিডিয়ার লোকজন যাচ্ছে, আমরা গেলেই ঝামেলা হবে? সরকারের নিজের দোষ ঢাকতে আমাদের গায়ের জোরে আটকাচ্ছে।'
এর আগে পুলিশের তরফে সমাজবাদী পার্টির সাংসদ জিয়া-উর-রহমান বার্কের বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগ তোলা হয়েছিল। পুলিশের সুপার কৃষণ কুমার জানিয়েছিলেন, জিয়াউরের উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্যই অশান্তি ছড়ায়। ড্রোনে নজরদারি চালিয়ে তাঁকে চিহ্নিত করা হয়।
যদিও সমাজবাদী নেতা তখন পাল্টা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেছিলেন, 'এই অশান্তির জন্য দায়ী তারাই। পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ দায়ের হওয়া উচিত। অভিসন্ধি করে মুসলমানদের টার্গেট করে মারা হয়েছে।'