শেষ আপডেট: 11th February 2025 18:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হাতেগোনা আর কিছু সময় বাকি। বুধবার ভোর হতেই মহাকুম্ভে পুণ্যস্নান সারবেন লাখো লাখো মানুষ। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শেষ মুহূর্তের কাউন্টডাউন। কিন্তু পুণ্যলাভের আশায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এলেও প্রয়াগরাজে ঢুকতেই পারছেন না অনেকে। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, ৩৫ কিলোমিটার দূর থেকে সারি দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে গাড়ি। যেদিকেই চোখ যাচ্ছে ভয়াবহ অবস্থার ছবি সামনে আসছে। এবার সংসদে দাঁড়িয়ে উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের সমালোচনা করলেন সমাজবাদী পার্টির সাংসদ অখিলেশ যাদব।
জানা গিয়েছে, সোমবারই প্রয়াগরাজের অচলাবস্থা নিয়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে অখিলেশের কটাক্ষ “... কুম্ভে যাওয়া ভক্তরা ৩০০ কিলোমিটার আগে থেকেই যানজটে আটকে পড়েছিলেন। এটাই কি বিকশিত ভারত? যেখানে যানজট সামলাতে সরকারের মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। যখন আমরা যানজট সামলাতে পারছি না, তখন চাঁদে গিয়ে লাভ কী?”
এরপরই ডবল ইঞ্জিন সরকারকে ব্যঙ্গ করে অখিলেশের কটাক্ষ, ‘ডবল ইঞ্জিন সরকার ডবল ভুল করছে।’ চলতি বছর মহকুম্ভ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যোগী আদিত্যনাথ সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু সময় যত এগিয়েছে একের পর এক ধাক্কা খেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সরকার। কুম্ভের তাঁবুতে আগুন লেগেই হোক বা পদপিষ্টের মতো ঘটনা, তবুও প্রয়াগরাজে রেকর্ড ভক্তসমাগম কিছুতেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। যার জেরে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটলেও তা সামাল দিতে ব্যর্থ ডবল ইঞ্জিন সরকার, এমনটাই অভিযোগ সমাজবাদী পার্টির নেতার।
"क्या यही विकसित भारत की तस्वीर होगी जिसमें आप ट्रैफिक मैनेज नहीं कर पा रहे। चांद पर पहुंचने का क्या फायदा जब जमीन की समस्याएं ना दिखती हो आपको।"
— Samajwadi Party (@samajwadiparty) February 11, 2025
- माननीय राष्ट्रीय अध्यक्ष श्री अखिलेश यादव जी pic.twitter.com/Tdmq9Q9KvZ
মঙ্গলবার সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, মেলা চত্বরে কোনও গাড়ি প্রবেশ করানো যাবে না। দু-চাকা থেকে চার-চাকা, সব গাড়ি প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। তবে আপৎকালীন পরিস্থিতিতে অ্যাম্বুলেন্স ঢুকতে পারে। এদিকে ভক্তরা যে গাড়ি নিয়ে আসবেন সেই গাড়িগুলির পার্কিং নিয়েও নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। গোটা প্রয়াগরাজ শহরে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
এদিন বিকেল ৫টার পর থেকে শহরে বাইরের জেলা বা রাজ্য থেকে আসা গাড়ি ঢুকতে দেওয়া একেবারে বন্ধ করে দিয়েছে যোগী সরকার। মাঘি পূর্ণিমার পুণ্য তিথি শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই নিয়ম লাগু থাকবে।