শেষ আপডেট: 28th January 2025 15:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন সাম পিত্রোদা। ওভারসিজ কংগ্রেসের সভাপতি সাম একটি ইউটিউব চ্যানেলকে বলেছেন যারা নথিপত্র ছাড়া ভারতে বছরের পর বছর বসবাস করছে তাদের তাড়িয়ে দেওয়া অনুচিত। বরং যারা এ দেশের আসতে চায়, তাদের আসতে দেওয়া উচিত। প্রবীণ কংগ্রেস নেতার বক্তব্য, এটাই শাশ্বত ভারতের ধারা। আমরা বরাবর গ্রহণ করেছি কাউকে বের করে দিইনি।
সামের এই বক্তব্য নিয়ে রে রে করে পথে নেমে পড়েছে বিজেপি। দিল্লি বিধানসভা ভোটের প্রচারে তারা নয়া অস্ত্র পেয়ে গেল বলে মনে করছে দল। রাজধানীর ভোটে বিজেপির অন্যতম ইস্যু বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ। আম আদমি পার্টি এবং কংগ্রেস পাল্টা অভিযোগ করছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশের দায় কেন্দ্রীয় সরকারের। কারণ, সীমান্ত রক্ষার দায় ভারত সরকারের। একই কথা বলছে কংগ্রেস।
অন্যদিকে, বিজেপি বলছে আপ ও কংগ্রেস পরিকল্পনা করে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার বানিয়েছে। দিল্লি বিধানসভা ভোটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে সব স্তরের নেতাই অনপ্রবেশকে প্রচারে হাতিয়ার করেছেন।
সেখানে ওভারসিজ কংগ্রেসের সভাপতি সাম উল্টো কথা বলেছেন। নথিহীন বিদেশিদের ভারতে থাকতে দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন প্রবীণ নেতা। প্রয়াত রাজীব গান্ধীর বন্ধু সাম রাহুল গান্ধীর অত্যন্ত কাছের মানুষ। বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র প্রদীপ ভাণ্ডারির কথায় সাম পিত্রোদা আসলে রাহুল গান্ধীর মনের কথাই বলেছেন। কংগ্রেস এইভাবে দেশকে বিদেশিদের হাতে তুলে দিতে চায়।
সাম পিত্রোদার বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক নতুন নয়। গত বছর লোকসভা ভোটের আগে তিনি দু’বার বেফাঁস মন্তব্য করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলেছিলেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আদলে ভারতেও ইনহেরিটেন্স ট্যাক্স চালু করার পক্ষে সওয়াল করেন তিনি। যে বক্তব্য লুফে নিয়ে প্রচারে কংগ্রেসকে তুলোধুনো করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
আর একটি ইন্টারভিউতে বলেছিলেন, ভারতবাসীর চেহারার মধ্যে গোটা বিশ্বের ছাপ আছে। পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মানুষ চিনাদের মতো দেখতে। উত্তর ভারতের মানুষ গোড়া। আবব দূনিয়ার মানুষের মতো দেখতে পশ্চিম ভারতের মানুষ। অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের সঙ্গে মিল রয়েছে দক্ষিণ ভারতের। সামের এই বক্তব্য নিয়েও ভোটের প্রচারে শোরগোল হয়। দুই ক্ষেত্রেই কংগ্রেস তাঁর বক্তব্য খারিজ করার পাশাপাশি তাঁকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়। লোকসভা ভোটের মাসে তাঁকে ওভারসিজ কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যদিও ভোট মিটতেই আগের পদে ফিরে আসেন তিনি।