শেষ আপডেট: 3rd February 2025 11:28
ফোরেক্স বিশেষজ্ঞদের মতে, বিদেশি পুঁজির ধারাবাহিক লেনদেন ও আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের শক্তিশালী অবস্থানের কারণেই ভারতীয় মুদ্রার উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে অপরিশোধিত তেল আমদানিকারকদের যে বিপুল চাহিদা ডলারের, সেটিও টাকার দর পতনের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উদ্বেগের বড় কারণ ট্রাম্পের শুল্ক নীতি কার্যকর হওয়া। কারণ বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে ডলারের চাহিদা বাড়ায় তা ১০৯.৫০ স্তরে পৌঁছে গেছে।
এদিকে, ডলারের শক্তি পরিমাপকারী সূচক ডলার ইনডেক্স ১.৩০% বৃদ্ধি পেয়ে ১০৯.৭৭-এ পৌঁছেছে। ইউরো, ব্রিটিশ পাউন্ড ও ইয়েনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মুদ্রাগুলোরও দরপতন ঘটেছে—ইউরো ১.০২২৪, পাউন্ড ১.২২৬১ এবং ইয়েন ১৫৫.৫৪-তে নেমে এসেছে। অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ব্রেন্ট ক্রুডের দর ০.৭১% বেড়ে ৭৬.২১ ডলার প্রতি ব্যারেলে পৌঁছেছে।
ফোরেক্স বিশেষজ্ঞ অনিল কুমার ভানসালির মতে, সোমবার টাকার মূল্যের ওঠানামার পরিধি ৮৬.৬৫ থেকে ৮৭.০০-র মধ্যে থাকতে পারে, এবং বাজারের স্থিতিশীলতা ফেরাতে রিজার্ভ ব্যাংক হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
বিশ্ববাজারের এই অস্থিরতার মধ্যেও টাকার দর কতটা স্থিতিশীল থাকে, তা নির্ভর করবে আগামী দিনে বিনিয়োগকারীদের মনোভাব, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগুলি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য পরিস্থিতির ওপর।