২৭ বছর বয়সি ওই যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) ৬৪(১) ধারায় মামলা হয়েছে। অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ নভেম্বর কোঝিকোড় জেলার একটি হোটেলে তিনি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগকারিণী একজন তৃতীয় বর্ষের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী (Medical Student)।
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 3 July 2025 14:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: এক বিবাহিত মহিলার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পরে ধর্ষণে অভিযুক্ত যুবককে আগাম জামিন দিল কেরল হাইকোর্ট (Kerala High Court)। আদালতের পর্যবেক্ষণ, প্রাপ্তবয়স্কদের সম্মতিতে গড়ে ওঠা সম্পর্ক শেষ হলে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ হিসেবে গণ্য করা যায় না (Relationship end not reason to allege rape)।
২৭ বছর বয়সি ওই যুবকের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) ৬৪(১) ধারায় মামলা হয়েছে। অভিযোগ, ২০২৪ সালের ৩ ও ৪ নভেম্বর কোঝিকোড় জেলার একটি হোটেলে তিনি ওই মহিলাকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগকারিণী একজন তৃতীয় বর্ষের মেডিক্যাল শিক্ষার্থী (Medical Student)। তিনি বিবাহিত। ঘটনার পাঁচ মাস পর এই অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
যুবকের আইনজীবী আদালতে জানান, তাঁরা দীর্ঘ সময় প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন এবং পারস্পরিক সম্মতিতেই শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন। পরবর্তীতে যখন সম্পর্কের অবনতি হয়, তখনই ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়।
বিচারপতি জানান, 'যদি একজন বিবাহিত নারী স্বেচ্ছায় কোনও পুরুষের সঙ্গে সময় কাটান এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখেন, তাহলে তাকে জোর করে শারীরিক সম্পর্ক বা ধর্ষণ বলা যায় না।' আদালত আরও জানায়, 'অভিযোগকারিণী অভিযুক্তের সঙ্গে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন এবং তাঁর লজে দু’দিন ছিলেন।'
বিচারপতির আরও মন্তব্য, 'বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা বলা হলেও এই ক্ষেত্রে তা গ্রহণযোগ্য নয়, কারণ অভিযোগকারিণী এখনও বিবাহিত সম্পর্কে রয়েছেন।'
কেরল হাইকোর্ট বলে, 'প্রেম ভেঙে গেলে প্রতিহিংসা থেকে আনা ধর্ষণের অভিযোগে কাউকে বিনা বিচারে শাস্তি দেওয়া যায় না (Relationship end not reason to allege rape)। এমন সিদ্ধান্ত একজন তরুণের জীবন শেষ করে দিতে পারে।' এই যুক্তির ভিত্তিতে শর্তসাপেক্ষে অভিযুক্তর আগাম জামিন মঞ্জুর করে আদালত। তবে তাঁকে তদন্তকারীদের সামনে হাজিরা দিতে হবে। অভিযোগকারিণীর সঙ্গে কোনওরকম যোগাযোগ করা যাবে না এবং মামলার প্রমাণ নষ্ট করার চেষ্টা করলে জামিন বাতিল হতে পারে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছে কেরল হাইকোর্ট।