শেষ আপডেট: 30th September 2024 18:18
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে, ১৪ অক্টোবর। আজ সোমবারের শুনানি শেষে জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি। সেদিন সিবিআইকে ফের পরবর্তী স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আজ, সোমবারের শুনানিতে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় সিবিআই। নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?
সোমবার শুনানিতে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ স্টেটাস রিপোর্ট খতিয়ে দেখার পরে জানিয়েছে, তদন্ত চালিয়ে যেতে পারে সিবিআই। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় মন্তব্য করেন, 'সিবিআই তদন্তে অনেক গুরুত্বপূর্ণ লিড উঠে এসেছে। তারা তদন্ত চালিয়ে নিয়ে যাক।'
তবে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। তিনি জানান, নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল? এর উত্তরে সলিসিটর জেনারেল জানান, চশমা না খুলেই ঘুমোনোর জন্য এই আঘাত লেগেছে।
এদিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার চতুর্থ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ফের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। শুনানিতে ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী অংশ নেন।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় ওঠে আদালতে। দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তা দেখেই নির্যাতিতার চোখের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রচূড়।
পাশাপাশি, এদিনের শুনানিতে নাম ওঠে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দেবাশিস সোমেরও। নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের প্রধান চিকিৎসক ছিলেন তিনিই। তাঁকে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও চেনেন সকলে। তাঁকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি সে নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠলে আইনজীবীর তরফে তুষার মেটা জানান, ১২ তারিখের আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার পর থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
এছাড়াও এদিনের মামলায় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, 'এটা সাধারণ খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নয়। আমাদের কাছে চার জনের নাম রয়েছে, যাঁরা ঘটনার দিন ক্রাইম সিনে ছিলেন। দু’জনের নাম আমরা সিবিআইকে দিয়েছি।'
পাশাপাশি, সিবিআই তদন্তের স্ক্যানারে নাম আসা, হাসপাতালের ৭ জনকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানান তিনি। কারণ তাঁরা তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন বলে সন্দেহ তাঁর। ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দীর তরফেও একই আবেদন করা হয়।