সুপ্রিম কোর্ট
শেষ আপডেট: 10th December 2024 16:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: গত ৭ নভেম্বর শীর্ষ আদালতে আরজি কর মামলার শুনানি হয়েছিল। প্রায় এক মাস পর আজ ওই মামলার শুনানি হল সুপ্রিম কোর্টে। বেলা ১১টা নাগাদ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়।
মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে প্রধান বিচারপতি জানান, সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ জন সাক্ষীর।
সিবিআইয়ের আইনজীবী তথা কেন্দ্রের অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দেন শীর্ষ আদালতে। এটি সিবিআইয়ের সপ্তম রিপোর্ট।
সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রোজ নিম্ন আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ধর্ষণ মামলার শুনানি হচ্ছে। সেই শুনানি প্রক্রিয়া আগামী মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে মোট ৫২ জন সাক্ষী আছেন। রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ জনের বয়ান।
অন্যদিকে আদালতে নির্যাতিতার পরিবারের আইনজীবী আর্জি জানান, দ্রুত বিচার দেওয়া হোক। তিনিও আশাবাদী আগামী সপ্তাহের মধ্যে ট্রায়াল শেষ হয়ে যেতে পারে।
শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন, শুধু আর্জি এবং প্রয়োজনীয় তথ্যই শোনা আর দেখা হবে। ফলে এদিন রিপোর্ট পেশের পরপরই প্রধান বিচারপতি ডিএনএ রিপোর্ট দেখতে চান। জবাবে তুষার মেহতা জানান রিপোর্ট ম্যাচ করেছে।
এরপরই আর্থিক দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে কি না, জানতে চান প্রধান বিচারপতি। তুষার বলেন, 'অন্য কোর্টে মামলা চলছে।' একই সঙ্গে তিনি রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ২৭ নভেম্বর সরকারি পদে কাজ করা দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যের অনুমতি চাওয়া হয়েছিল। ২৯ নভেম্বর চার্জশিটও দেওয়া হয়। এরপরই রাজ্যের আইনজীবীর উদ্দেশে প্রধান বিচারপতি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দেন।
আর ঠিক তখনই জুনিয়র ডাক্তারদের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিংহ প্রধান বিচারপতির কাছে আর্জি জানান, তিনি যেন রাজ্যের পদক্ষেপের উপর নজরদারি করতে নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করার বিষয়টা একবার বিবেচনা করে দেখেন। এর উত্তরে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন, ডাক্তারদের যা বলার সেটা যেন ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্সের কাছে জানায়। এর জন্য এনটিএফ-কে একটি ইমেইল তৈরি করার কথাও বলেন তিনি। জানিয়ে দেন, ১২ সপ্তাহ পরে সব খতিয়ে দেখে টাস্ক ফোর্সকে রিপোর্ট দিতে হবে।
প্রধান বিচারপতি জানান, আরজি কর মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৭ মার্চ।