দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোমবার আরজি কর মামলায় সাজা ঘোষণা করেছে শিয়ালদহ আদালত। দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ঠিক দুদিনের মাথায় আরজি কর মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু সেই শুনানি আজ হচ্ছে না। সেই মামলার শুনানি আগামী ২৯ জানুয়ারি। ওই দিন দুপুর ২টোয় এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি সঞ্জয় কুমার এবং বিচারপতি কেভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চ।
আরজি কর ইস্যুতে শীর্ষ আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের হওয়ার পর একাধিকবার শুনানি পিছিয়েছে। তবে এর মধ্যে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যদি কোনও পক্ষ নতুন করে অভিযোগ বা তথ্য উপস্থাপন করতে চায়, তাহলে তাদের সেই সুযোগ দেওয়া হবে। সম্প্রতি নির্যাতিতার বাবা-মা শীর্ষ আদালতে নতুন করে মামলাটি তুলে ধরার জন্য আবেদন জানান। সেই কারণে বুধবার মামলাটির শুনানি হওয়ার কথা ছিল। এই শুনানি হলে সঞ্জয় রায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর প্রথমবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানি হত। কিন্তু তেমনটা বুধবার হল না।
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত জুনিয়র ডাক্তারকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল হয় গোটা দেশ। সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা হয়। একই সময়ে, শিয়ালদহ আদালতে আরজি করের মূল মামলার বিচারপ্রক্রিয়া চলছিল এবং সোমবার সেই মামলায় দোষী সঞ্জয় রায়কে সাজা দেওয়া হয়। তবে, নিম্ন আদালতের এই রায় নিয়ে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠছে। অনেকে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। কেন আরজি করের ঘটনার গুরুত্বকে 'বিরলতম' অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়নি, তা নিয়ে কথা সওয়াল করছেন সাধারণ মানুষও।
ইতিমধ্যে রাজ্য সরকার নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে। বুধবার সেই মামলারও শুনানি ছিল আদালতে। যদিও এদিন সব পক্ষের কথা শুনে, শুনানি মুলতবি করে বিচারপতি জানান, আগামী সোমবার ফের হবে শুনানি। সেদিন সিবিআই, সঞ্জয় রায়, নির্যাতিতার পরিবার -- সব পক্ষকে আদালতে হাজির থাকার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি।
আসলে শুনানির শুরুতেই রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির আবেদন নিয়ে আপত্তি তোলে সিবিআই। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে সিবিআই-এর ডেপুটি সলিসিটর জেনারেল রাজদীপ মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, নির্যাতিতার পরিবার, সিবিআই বা দোষী নিজে যদি উচ্চ আদালতে না যায়, তবে রাজ্য সরকার কীভাবে এই আবেদন করতে পারে? তবে সরকার পক্ষের আইনজীবী জানান, না, নির্যাতিতার পরিবারকে জানানো হয়নি। এর পরেই বিচারপতি বসাক জানান, এই মামলার গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে।