১৭৫ বছর পুরনো এই বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কে ৩ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে এবং এটি ২৫টি কলেজ নিয়ে গঠিত। এখানে ১২২টি দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানটির নামকরণের মুহূর্ত
শেষ আপডেট: 22 May 2025 11:47
দ্য ওয়াল ব্যুরো: নিউ ইয়র্কের সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্ক (CUNY)তাদের একটি নতুন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করল বিশিষ্ট ভারতীয় শিক্ষাবিদ ও সমাজসংস্কারক ড. অচ্যুত সামন্তের নামে। ‘Achyuta Samanta India Initiative CUNY Crest Institute’ (ASIICCI) নামের এই প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন করা হল নিউ ইয়র্ক শহরে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আমেরিকার একাধিক শিক্ষাবিদ ও বিশিষ্টজন।
এই প্রথমবার কোনও ভারতীয়র নামে আমেরিকায় কোনও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের নামকরণ করা হল। এই ইনস্টিটিউট মূলত ওড়িশার শিল্প ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণা করবে এবং একই সঙ্গে ড. সামন্তর শিক্ষা ও আদিবাসী উন্নয়নমূলক কাজের উপরেও আলোকপাত করবে। আমেরিকার ছাত্রছাত্রীরা এর মাধ্যমে ভারতের গরিব ও প্রান্তিক সমাজ সম্পর্কে গভীরভাবে জানার সুযোগ পাবেন।
এই বিষয়টির প্রস্তাব প্রথমে দেয় সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কের ব্রঙ্কস কমিউনিটি কলেজের প্রেসিডেন্ট ড. মিল্টন সান্তিয়াগো। তিনি সম্প্রতি ভুবনেশ্বরে ড. সামন্ত প্রতিষ্ঠিত কেআইআইটি এবং কেআইএসএস পরিদর্শন করেন এবং তাঁর কাজে মুগ্ধ হয়ে এই নামকরণের প্রস্তাব দেন। পরে সেটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড দ্বারা অনুমোদিত হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. সান্তিয়াগোর আমন্ত্রণে উপস্থিত ছিলেন ড. সামন্ত নিজে।
এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে ড. সান্তিয়াগো বলেন, 'অচ্যুত সামন্ত ইন্ডিয়া ইনিশিয়েটিভ আমেরিকার পড়ুয়াদের ভারতীয় আদিবাসী সমাজ, সংস্কৃতির শিকড় এবং বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তারকারী এক শিক্ষা মডেলের সঙ্গে যুক্ত হতে সাহায্য করবে।'
নিজের নামে একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হওয়ায় স্বভাবতই উচ্ছ্বসিত ড. সামন্ত। 'গর্বের মুহূর্ত' বলে বর্ণনা করেন তিনি। বলেন, 'এই সম্মান শুধু আমার নয়, এটি ওড়িশাবাসী, কেআইআইটি এবং কেআইএসএস পরিবারেরও। আমি এই কৃতিত্ব তাদেরই উৎসর্গ করছি।'
প্রসঙ্গত, ১৭৫ বছর পুরনো এই বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ সিটি ইউনিভার্সিটি অফ নিউ ইয়র্কে ৩ লক্ষের বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে এবং এটি ২৫টি কলেজ নিয়ে গঠিত। এখানে ১২২টি দেশের শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেন। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তে ড. সামন্তকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ সম্মান 'প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল'ও প্রদান করা হয়।
এই সম্মানে ভূষিত হওয়া নিঃসন্দেহে ভারতের জন্য এক বড় প্রাপ্তি।