শেষ আপডেট: 7th January 2025 11:37
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রেস্তোরাঁয় বসে চিকেন, মটন, ভেজ খেতে অস্বস্তি? মেনুকার্ডে দাম দেখে চোখ কপালে ওঠে? ভেতর খচখচ করে ওঠে এই ভেবে যে, এই দামে সপরিবারে জমিয়ে ফিস্টি করা যেত? তাহলে আপনার মনের দ্বন্দ্ব দূর করবে ক্রেসিলের প্রকাশিত নয়া রিপোর্ট। যেখানে বলা হয়েছে ডিসেম্বর মাসে ঘরে রাঁধা খাবার, নিরামিষ ও আমিষ দুইয়েরই খরচ লক্ষ্যণীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। নেপথ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া।
একদিকে শীতের পারদ নামছে। অন্যদিকে মাথাচাড়া দিচ্ছে ঘরোয়া খাবারের খরচ। মূল্যায়ন সংস্থা ক্রেসিলের সমীক্ষার শীর্ষক ‘রোটি, রাইস, রেট’ ইনডেক্স (Roti, Rice, Rate Index)। যার মোদ্দা প্রতিপাদ্য হচ্ছে আমজনতার খরচের হ্রাস-বৃদ্ধিকে তুল্যমূল্য বিশ্লেষণ করা। রিপোর্টে বলা হয়েছে, একটি ভেজ থালি রান্নার গড় খরচ ডিসেম্বর মাসে ৬ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১.৬ টাকা। একইভাবে নিরামিষ থালির খরচ বেড়েছে ১২ শতাংশ। ইদানীং গড়ে প্লেট প্রতি খরচ পড়ে ৬৩.৩ টাকা।
বিশ্লেষকদের মতে, বেশ কিছু বিষয়কে এর জন্য দায়ী করা যায়। প্রথম খলনায়ক নিত্যজরুরি আনাজ। যার মধ্যে অন্যতম টোম্যাটো। ডিসেম্বর মাসে যার দাম এক লাফে ২৪ শতাংশ বেড়ে কেজি প্রতি দাঁড়িয়েছিল ৪৭ টাকায়। আলুর গল্প আরও ভয়াবহ। সেখানে মূল্যবৃদ্ধি ৫০ শতাংশ। তবে পশ্চিমবঙ্গ বা কলকাতা নয়৷ সমীক্ষকেরা উপাত্ত বা ডেটা হিসেবে সারা ভারতে আনাজের দামকে ব্যবহার করেছেন। তাঁদের চোখে, সবজিপত্রের পাশাপাশি তেল, বিশেষত ভোজ্য তেলের দামও চড়চড়িয়ে উঠেছে। আমদানি শুল্ক বেড়ে যাওয়াকেই এর জন্য দুষেছেন বিশ্লেষকেরা। নিরামিষের মতো আমিষের ক্ষেত্রে আবার গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে আবহাওয়া। ডিসেম্বরে দেশজুড়ে পারদপতন। যার জেরে ব্রয়লার মুরগির উৎপাদন কমেছে এবং বেড়েছে দাম (প্রায় ২০ শতাংশ)। অতএব শুল্ক, পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং জলবায়ুর ত্রিফলা চাপে নাভিশ্বাস উঠেছে আম আদমির হেঁসেলে। উপকরণের ‘দাম’ বেড়ে যাওয়ায় খুব স্বাভাবিকভাবেই সেসব মিলেমিশে রাঁধা থালির ‘খরচ’ বেড়েই চলেছে।
মধ্যবিত্ত ভারতীয়ের রান্নাঘর সামলানোর চ্যালেঞ্জের কথা বলে ক্রেসিলের রিপোর্টের ইতি টানা হয়েছে। এভাবে খরচ বাড়তে থাকলে কীভাবে আর কী দিয়ে রান্নাবান্না চালাতে পারবেন তাঁরা, প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্লেষকেরা।