ওমর আবদুল্লা
শেষ আপডেট: 10 May 2025 16:14
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ভারতের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যেই পাকিস্তানকে (Pakistan) ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ (Loan) অনুমোদন করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলা বা আইএমএফ (IMF)। তাঁদের তরফে সরকারি কোনও বিবৃতি না এলেও ইসলামাবাদ অন্তত এমনই দাবি করেছে। আর এই খবরে স্বাভাবিকভাবেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ভারত। নয়াদিল্লির মত, এই টাকা সন্ত্রাসের কাজেই লাগাবে পাকিস্তান। অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাও (Omar Abdullah) আইএমএফ-এর ভূমিকায় চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
আর্থিকভাবে ধুঁকছে পাকিস্তান। এই অবস্থায় যে তারা কোনও মতেই কোনও রকম যুদ্ধে যেতে পারবে না, তা স্পষ্ট। কিন্তু ভারতের 'অপারেশন সিঁদুর'-এর বিরোধিতায় তারা হামলা করা থেকে বিরত হচ্ছে না। জম্মু-কাশ্মীর সহ উত্তর ভারতের নানা রাজ্যে ড্রোন হামলা চালাচ্ছে পাকিস্তান। ভারত অবশ্য পাল্টা প্রতিরোধ করছে, তবে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাচ্ছে। এই অবস্থায় আইএমএফ-এর পাকিস্তানকে ঋণ অনুমোদন ভারতের আরও ক্ষতি করবে বলে মনে করছেন ওমর আবদুল্লা।
জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ''আইএমএফ-এর টাকা জঙ্গিদের দিয়ে দেবে পাকিস্তান। সন্ত্রাসের কাজেই তা ব্যবহার করা হচ্ছে। আদতে জম্মু-কাশ্মীর ধ্বংস করার জন্যই মনে হয় পাকিস্তানকে টাকা দেওয়া হয়েছে। আইএমএফ চায় না জম্মু-কাশ্মীর সুরক্ষিত থাকুক।'' আবদুল্লা বিস্ময় প্রকাশ করে এও বলেছেন, তিনি বুঝতে পারছেন না এই পরিস্থিতির মধ্যে কীভাবে আইএমএফ পাকিস্তানকে ঋণ অনুমোদন দিল। আদতে তাঁরা বর্তমান পরিস্থিতিকে আরও খারাপের দিকে নিয়ে গেল বলে মত আবদুল্লার।
পাকিস্তানকে এই ঋণ কেন দিচ্ছে আইএমএফ? খুব সহজ ভাবে বুঝতে গেলে বলা যায়, ‘Extended Fund Facility’ বা বিস্তৃত তহবিল সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এই ঋণ দেওয়া হচ্ছে। যার উদ্দেশ্য পাকিস্তানের টালমাটাল অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করা। কিন্তু ভারতের দাবি, এই টাকা ভারত বিরোধী কার্যকলাপের জন্য ব্যবহার করবে ইসলামাবাদ। তাই নয়াদিল্লি চেয়েছিল, এখনই আইএমএফ এই ঋণ পাকিস্তানকে না দিক।
শুক্রবার আইএমএফ বোর্ডের সভায় ১ বিলিয়ন ডলারের ঋণ ছাড়ের পাশাপাশি ‘Resilience and Sustainability Facility’-এর আওতায় অতিরিক্ত ১.৩ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবও বিবেচনায় আসে। ভারত ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকে এবং তীব্র আপত্তি জানায়।
এই ঋণ ছাড়ের ফলে পাকিস্তান এখন পর্যন্ত মোট ২ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। ইসলামাবাদ সফলভাবে সাতটি ছয়-মাস মেয়াদি মূল্যায়ন সম্পন্ন করলে আরও সমপরিমাণ কিস্তি পাওয়ার অধিকার অর্জন করতে পারে।