রেওয়ার তেওনথার তহশিলের পরাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা ব্রিজেশ কোল (Brijesh Kol)। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মা বেলা কোলের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর ব্রিজেশকে ওই স্কুলেই পিয়নের চাকরি দেওয়া হয়
প্রতীকী ছবি
শেষ আপডেট: 16 June 2025 11:16
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মায়ের মৃত্যুর ভুয়ো কাহিনি সাজিয়ে, ভুয়ো নথিপত্র জমা দিয়ে সরকারি চাকরি পেয়ে গিয়েছিল যুবক। অথচ ওই 'মা’ কখনও শিক্ষা দফতরে কাজই করতেন না, এমনকি ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর কোনও আত্মীয়তার সম্পর্কও ছিল না। মধ্যপ্রদেশের রেওয়া জেলার শিক্ষা দফতরে এমনই এক চাঞ্চল্যকর কেলেঙ্কারি সামনে এসেছে (Madhya Pradesh's Rewa district education office)।
রেওয়ার তেওনথার তহশিলের পরাসিয়া গ্রামের বাসিন্দা ব্রিজেশ কোল (Brijesh Kol)। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁর মা বেলা কোলের শারীরিক অসুস্থতার কারণে মৃত্যু হয়েছে। তিনি একটি স্কুলে সহকারী শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর ব্রিজেশকে ওই স্কুলেই পিয়নের চাকরি দেওয়া হয়।
বেতনের হিসেব করার সময় স্কুলের প্রধান শিক্ষক ব্রিজেশের নথিতে গড়মিল দেখতে পায়। একটু খোঁজখবর করতে গিয়েই চমকে ওঠেন তিনি। জানা যায়, বেলা কালি কোল কখনওই ওই দফতরে চাকরি করেননি। এমনকী ব্রিজেশ কোলের সঙ্গে তাঁর কোনও আত্মীয়তার সম্পর্কও নেই।
জেলা শিক্ষা আধিকারিক (DEO) সুধামা গুপ্তার নেতৃত্বে একটি তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে উঠে আসে, এই একটি ঘটনা নয়, বিভিন্ন ব্লকে আরও পাঁচটি ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ওম প্রকাশ কোল, সুষমা কোল, বিনয় রাওত, হিরামণি রাওত এবং রামা দ্বিবেদী। এঁদের প্রত্যেকেই জাল নথি ব্যবহার করে সরকারি স্কুলে চাকরি পেয়েছিলেন।
জেলা শাসক প্রতিভা পাল জানান, এই নথিগুলি যে জাল হতে পারে তা প্রথমবারে একেবারেই বোঝা যায়নি। ডেথ সার্টিফিকেট, পুলিশ ভেরিফিকেশন, হলফনামা—সব কিছুই ছিল এক্কেবারে 'পারফেক্ট'। কিন্তু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যায় সম্পূর্ণ নথিগুলি ছিল ভুয়ো।
গত এক বছরে ভুয়ো আত্মীয়, ভুয়ো ডেথ সার্টিফিকেট দেখিয়ে প্রায় ৩৬ টি নিয়োগ হয়েছে। নোটিসের পরও ১০ জন নথি দেখাতে পারেনি। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনের কাগজপত্র ভুয়ো প্রমাণিত হয়েছে। ছ'জনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।