শেষ আপডেট: 7th March 2025 11:02
দ্য ওয়াল ব্যুরো: সোনা পাচারের অভিযোগে ধৃত জনপ্রিয় কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাও জেরার মুখে স্বীকার করে নিয়েছেন যে, তাঁর কাছে ১৭টি সোনার বাঁট ছিল। একইসঙ্গে তদন্তকারী অফিসারদের সামনে কী কৌশলে তিনি সোনা পাচার করতেন, তাও স্বীকার করে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, দুদিন আগেই বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া বিমানবন্দর থেকে দুবাই ফেরত বিমানে নামা রানিয়াকে বিপুল সোনা পাচারের অভিযোগে গ্রেফতার করে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স।
আধিকারিকদের সামনে জেরার লিখিত বিবৃতিতে রানিয়া বলেছেন, আমি বিভিন্ন সময়ে ইউরোপ, আমেরিকা, আরব দুনিয়া এবং সৌদি আরব ও দুবাইয়ে ঘনঘন যাতায়াত করেছি। আমি এই মুহূর্তে অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে আছি। এবং বিশ্রামের সুযোগ পাচ্ছি না। তিনি আরও বলেন, তাঁর বাবার নাম কেএস হেগড়েশ। যিনি একজন ইমারতি ব্যবসায়ী। তাঁর স্বামীর নাম যতীন হুক্কেরি, স্বামী আর্কিটেক্ট। তিনি আরও জানিয়েছেন, জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর উপর কোনও জোরাজুরি করা হয়নি। তিনি কোনও চাপের কাছে এই বিবৃতি দিচ্ছেন না। জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে খাবার, জল এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র দেওয়া হয়েছে। তবে তাঁর খিদে না থাকায় খাননি অভিনেত্রী।
রানিয়াকে প্রাথমিকভাবে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হলেও ডিআরআই তাঁকে তদন্তের স্বার্থে ৩ দিনের নিজেদের হেফাজতে চেয়েছে। অন্যদিকে, রানিয়ার আইনজীবী মক্কেলের জামিনের আবেদন জানিয়েছেন। সেই মামলার নির্দেশ হতে পারে আজ, শুক্রবার। তদন্তে জানা গিয়েছে, গত একবছরের মধ্যে রানিয়া প্রায় ৩০ বার দুবাই গিয়েছিলেন। ১৫ দিনের মধ্যে চারবার। আর প্রতিবারই তাঁকে একই পোশাক পরে ফিরতে দেখে সন্দেহ মাথাচাড়া দেয় তদন্তকারী অফিসারদের।
বুধবার বেঙ্গালুরুর কেম্পেগৌড়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কন্নড় অভিনেত্রী রানিয়া রাওকে বমাল গ্রেফতার করা হয়। শাড়ির নীচে একটি বেল্টে সোনার বাঁটগুলি বাধা ছিল। তাঁর শরীর ও বাক্স তল্লাশি চালিয়ে প্রায় ১৫ কেজির মতো চোরাই সোনা, যার মূল্য আনুমানিক সাড়ে ১২ কোটি টাকা, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। শুধু তাঁর কাছ থেকেই নয়, রানিয়ার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়ে ২.০৬ কোটি টাকার সোনার গয়না ও নগদ ২.৬৭ কোটি টাকা উদ্ধার করে ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স।
রানিয়াকে বিশেষ আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিলেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ও নিরাপত্তার কারণে তাঁকে নিভৃতকক্ষে রাখা হয়েছে। তদন্ত যত এগোচ্ছে ততই আঁতকে দেওয়ার মতো তথ্য সামনে উঠে আসছে। বছরখানেক ধরে অন্তত ৩০ বার দুবাই গিয়ে তিনি কিলো কিলো সোনা এদেশে পাচার করে এনেছেন বলে সন্দেহ। সোনা পাচারের রোজগার হিসেবে কিলোপ্রতি ১ লক্ষ টাকা তিনি পেতেন। সেই হিসেবে প্রতিটি সফরে রানিয়ার রোজগার ছিল আনুমানিক ১২-১৩ লক্ষ টাকা।