শেষ আপডেট: 2nd February 2024 12:04
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দির উদ্বোধন হয়ে গেছে। ভক্তরা এখন প্রতিদিন নিয়ম করে রামলালার দর্শন পাচ্ছে। জানা গেছে, উদ্বোধনের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অন্তত ২৫ লক্ষ মানুষ অযোধ্যায় গেছেন রাম মন্দির দেখতে। শুধু রামলালার দর্শন নয়, মোটা অঙ্কের টাকা অনুদানও দিয়েছেন তাঁরা।
রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিগত ১১ দিনে মন্দিরের অনুদান বাক্সে নগদ পড়েছে ৮ কোটি টাকা। এছাড়া অনলাইন এবং চেকের মাধ্যমে অনুদান দেওয়া হয়েছে সাড়ে ৩ কোটি টাকা। মন্দির চত্বরে ১০টি ডিজিটাল মেশিন বসানো হয়েছে অনলাইন পেমেন্ট করার জন্য।
নির্দিষ্ট সময়ের পর এই সমস্ত কাউন্টার বন্ধ হয়ে যায়। তারপর মন্দিরের ১৪ জন, ব্যাঙ্কের ১১ জন কর্মী সহ ট্রাস্টের ৩ জন কর্মী মিলে অনুদান পাওয়া অর্থ গোনেন। পুরো কাজটাই হয় সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্দিরের অনুদান বাক্সের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। তাতে দেখা গেছিল কী ভাবে বিপুল নগদ অর্থ গোনা হচ্ছে।
এমনিতেই ৫১ ইঞ্চির রামলালার বিগ্রহের সর্বাঙ্গে সোনা-হিরে-পান্না-চুনির গয়না আছে। রাম মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, রামলালাকে পরানো হয়েছে প্রায় ১৫ কেজি সোনা, ১৮ হাজার পান্না ও হিরের গয়না। প্রতিটি গয়নায় চুনি, মুক্তো দিয়ে নকশা করা।
মোট ১৪ রকম গয়না পরানো হয়েছে রামলালাকে। মাথার সোনার মুকুট, হিরে ও সোনার তিলক, চার রকম মণিহার, কোমরবন্ধবী, দুই বাহুতে বাহুবন্ধ, দু’হাতের স্বর্ণবালা, কানের দুল এবং আঙুলে বড় সোনা-হিরের আংটি। তাছাড়াও গলায় রয়েছে বিজয়মালা বা বৈজয়ন্তী মালা।
রামলালার সোনার মুকুটে হিরে, চুনি, পান্না দিয়ে নকশা করা। মুকুটের ঠিক মাঝখানে খোদাই করা সোনার সূর্যদেব। ২২ ক্যারাট সোনা দিয়ে তৈরি মুকুটের ওটন দেড় কেজি। মুকুটে ৭৫ ক্যারাট হিরে, ১৭৫ ক্যারাট পান্না ও ২৬২ ক্যারাট চুনি দিয়ে নকশা করা।
পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন কালো গ্রানাইট শিলা দিয়েই তৈরি হয়েছে পাঁচ বছরের রামলালার দিব্যমূর্তি। রামমন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে, ওই কালো গ্রানাইটকেই কৃষ্ণশিলা হিসেবে পুজো করে তার থেকেই মূর্তি তৈরি হয়। ওই কালো গ্রানাইট খুবই বিরল। এর বয়স কম করেও ২৫০ কোটি বছর। পৃথিবীর অন্যতম প্রাচীন গ্রানাইট শিলায় তৈরি হয়েছে রামলালার বিগ্রহ।