শেষ আপডেট: 25th March 2024 12:51
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বাঙালির দোলযাত্রা বা বসন্তোৎসবের মতোই আজ, সোমবার দেশজুড়ে মহাসমারোহে পালিত হচ্ছে হোলি। এরমধ্যে অযোধ্যায় উৎসাহ-উদ্দীপনা এবার বেশি। কারণ জানুয়ারি মাসে রামমন্দির উদ্বোধনের পর এই প্রথম রামলালার হোলিখেলা চলছে। রবিবার থেকেই সেখানে ভক্তদের ভিড় উপচে পড়েছে। এদিন সকাল থেকে মিছিলের মতো রামলালার দর্শন পেতে লাইন পড়েছে। জনতাকে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অযোধ্যার মতোই হোলির প্রাণকেন্দ্র মথুরা ও বৃন্দাবনে শুরু হয়ে গিয়েছে ফাগ উৎসব। কাশী বা বারাণসীতেও ঘাটে ঘাটে চলছে হোলির আনন্দ। বিশ্বনাথ মন্দিরে এদিন দর্শকদের ঢল যেন সমুদ্রের আকার নিয়েছে। তবে অযোধ্যায় এবার যেন আনন্দের বাঁধ ভেঙেছে ভক্তদের। শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট হোলির জন্য বিশেষ আয়োজন করেছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভেষজ গুলাল পাঠিয়েছেন রামলালাকে রাঙিয়ে তুলতে। বিগ্রকে ফুলে ফুলে সাজানো হয়েছে। মাথা থেকে পা পর্যন্ত গুলাল মাখানো হয়েছে। গোলাপি রঙের পোশাকে অপূর্ব সুন্দর লাগছে বলে জানিয়েছেন ভক্তরা।
রামলালাকে এবছর ত্বকের পক্ষে উপকারী ভেষজ রং ও আবিরে রাঙানো হয়েছে। কাউন্সিল অফ সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ এবং ন্যাশনাল বোটানিক্যাল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক গবেষকদল উৎসব উপলক্ষে বিশেষ ধরনের গুলাল তৈরি করেছে রামলালার জন্য। কচনার ফুল থেকে তৈরি হয়েছে এই বিশেষ ধরনের গুলাল। বিজ্ঞানীরা গোরক্ষপুরের গোরক্ষনাথ মন্দিরে অর্পণ করা একটি ফুল থেকেও ভেষজ রং প্রস্তুত করেছেন। ল্যাভেন্ডার এবং চন্দন গন্ধে সুরভিত এই রং। ভক্তদের বিশ্বাস ত্রেতা যুগে কচনার ছিল অযোধ্যা রাজ্যের রাজবৃক্ষ। আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরিতে এই ফুল ব্যবহার করা হয়। এতে জ্বালামুক্তি, জীবাণুনাশক এবং ছত্রাক সংক্রমণ নাশক ক্ষমতা আছে বলে আয়ুর্বদ শাস্ত্র বলে। এই প্রাকৃতিক রং ত্বকের এবং পরিবেশবান্ধব।