গ্রাফিক্স-দ্য ওয়াল
শেষ আপডেট: 11 May 2025 14:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: জাতীয় প্রযুক্তি দিবসে 'ব্রহ্মস' ক্ষেপনাস্ত্রর নতুন ইউনিটের (Brahmos) ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। আগামী দিনে ভারত সামরিক ক্ষেত্রে আরও শক্তিশালী হবে, বার্তা প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।
বর্তমান পরিস্থিতির কারণে লখনউ যেতে পারেননি রাজনাথ সিং। তিনি জানান, এই সময়ে তাঁর দিল্লিতে থাকা জরুরি। তাই রাজধানী থেকেই ভার্চুয়ালি 'ব্রহ্মস'-এর (Brahmos) নতুন ইউনিটের উদ্বোধন করেন। রাজনাথ সিং বলেন, 'আজ দেশের জন্য ঐতিহাসিক দিন। আজ জাতীয় প্রযুক্তি দিবস। আজকের দিনে পোখরানে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা হয়েছিল। আগামী দিনে ক্ষেপনাস্ত্র-র উৎপাদন বাড়িয়ে দেশের কাছে নতুন উদাহরণ তৈরি করবে উত্তরপ্রদেশ।' এরফলে ভারতের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মজবুত হবে বলে আশ্বাস প্রতিরক্ষামন্ত্রীর।
ব্রহ্মস-এর নতুন ইউনিটের জন্য খরচ হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। ভারত এবং রাশিয়ার যৌথ উদ্যোগ এই ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্র। এখানে বার্ষিক ১০০ টি ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি প্রতি বছর ১০০-১৫০ নতুন প্রজন্মের ব্রহ্মস ক্ষেপনাস্ত্রও নির্মাণ করা হবে। আরও জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ সরকারের দেওয়া ৮০ হেক্টর জমিতে ব্রহ্মস-এর নতুন ইউনিটের নির্মাণ হয়েছে।
অপারেশন সিঁদুর (Operation Sindoor) নিয়ে আরও একবার এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কথা বলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কড়া বার্তা, যারা সিঁদুর মুছেছে অপারেশন সিঁদুর তাঁদের জন্য যোগ্য জবাব। ভারত সবরকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি। সিঁদুর শুধু অপারেশন নয়, একটা সংকল্প। ভারতকে আঘাত করলে ওপারেও কেউ সুরক্ষিত থাকবে না।' সন্ত্রাসে ভারতের জিরো টলারেন্স, সন্ত্রাসবাদ দমনে ভারত সবসময় কঠিন পদক্ষেপ নেবে, একথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন তিনি।
২২ এপ্রিল পহেলগামে পর্যটকদের ওপর জঙ্গি হামলায় (Pahalgam Terror Attack) ২৬ জনের মৃত্যু হয়। গত বুধবার ভোররাতে প্রত্যাঘাত করে ভারত। ভারতীয় সেনা, নৌ সেনা, বায়ু সেনা- একযোগে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালায়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় ৯ পাক জঙ্গিঘাঁটি। এরপর ভারত-পাক সীমান্তে পরিস্থিতি উত্তপ্তহতে শুরু করে। প্রত্যেকবারই পাকিস্তানের হামলার চেষ্টা ব্যর্থ করে ভারতীয় সেনাবাহিনী। অবশেষে শনিবার বিকেলে সংঘর্ষবিরতি ঘোষণা করেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিসরি। দুই দেশই এই সিদ্ধান্তে রাজি বলেও জানা গিয়েছিল। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে হামলা চালায় পাকিস্তান। জম্মু-কাশ্মীরের সীমান্ত লাগোয়া অন্তত ১১ জায়গায় গুলিবর্ষণ করে তারা। পাশাপাশি ড্রোন হামলারও চেষ্টা করা হয়। সংঘর্ষবিরতির পরও সীমান্ত এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি।