শেষ আপডেট: 10th March 2025 11:22
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজস্থানের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে (Basundhara Raje) কি ভাগ্য পরিবর্তনের আশা করছেন? তাঁর অনুগামীদের দাবি, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি (BJP president) পদের জন্য দলের বিবেচনায় থাকা মহিলা নেত্রীদের মধ্যে বসুন্ধরার নাম উপরের দিকে আছে। অনুগামীদের আর এক অংশের দাবি, ভজনলাল শর্মাকে (Bhajan Lal Sharma) সরিয়ে বসুন্ধরাকে ফের মুখ্যমন্ত্রী করার ভাবনাচিন্তা চলছে দলে।
অন্যদিকে, দলে বসুন্ধরা বিরোধীদের বক্তব্য, নেতৃত্বের কাছে গুরুত্ব না পেয়ে হতাশ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অস্তিত্ব জাহির করতে ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের মন্দিরে গিয়ে যজ্ঞ করেছেন। তিনি বোঝাতে চাইছেন, শত্রুতার জন্যই দলে তিনি আর এগতে পারলেন না। তাই তাঁর মতো নেত্রী থাকতে অনভিজ্ঞ ভজনলাল শর্মাকে মুখ্যমন্ত্রী করে চমক দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহেরা।
গত ৮ মার্চ ছিল বসুন্ধরার ৭১তম জন্মদিন। ওই দিন অনুগামীদের নিয়ে তিনি গিয়েছিলেন জয়সলমিরে (Jaishalmir)। এই মরু শহরের বিখ্যাত হিন্দু উপাসনাস্থল হল তনট মাতা মন্দির। সেটি পাকিস্তান সীমান্তের অদূরে অবস্থিত। বসুন্ধরা সেখানে যজ্ঞ করার পর সভা করেছেন। ভাষণে শত্রুর বিনাশের কথা বললেও পাকিস্তানের (Pakistan) নাম মুখে নেননি। যজ্ঞ অনুষ্ঠানের আগে সব মহলেই ধারণা করা হয়েছিল, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সীমান্তে গিয়ে পাকিস্তানের শত্রুতার বিরুদ্ধে সরব হবেন।
কিন্তু বসুন্ধরা বুঝিয়ে দেন, তিনি আসলে ঘরোয়া রাজনীতিতে সামনের সারিতে আসতে চাইছেন। ২০২৩-এর ডিসেম্বরে বিজেপি ফের ক্ষমতায় এলে চর্চা ছিল প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi), অমিত শাহদের (Amit Shah) সুনজরে না থাকায় তাঁর মনোবাসনা পূরণ হয়নি।
যদিও নতুন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে দলে ক্ষোভ, অসন্তোষ গোড়া থেকেই। প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে তাঁর নানা সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী বদলের দাবিও আছে দলের অন্দরে। রাজস্থানের রাজনীতির স্তম্ভ বসুন্ধরা ফের সামনের সারিতে আসতে চাইছেন। মুখ্যমন্ত্রী বদল করা হলে তাঁকেই বেছে নেওয়া হবে বলে তাঁর অনুগামীরা আশাবাদী।
অন্যদিকে, অনুগামীরা দাবি করছেন, বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতির পদেও বসুন্ধরার নাম দলের বিবেচনায় আছে। যদিও মোদী-শাহের অপছন্দের বসুন্ধরার নাম আলোচনায় আছে বলেই মানতে নারাজ তাঁর বিরোধীরা।