শেষ আপডেট: 3rd December 2023 18:50
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাজস্থানে দু'টি মেয়াদ বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া। এক বার ২০০৩ সালে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন রাজমাতা বিজয়ারাজে সিন্ধিয়ার এই বড় মেয়ে। পরে ২০১৩ সালে পুনরায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হন তিনি। কিন্তু এ বার বিধানসভা ভোটের আগে থেকেই বসুন্ধরাকে জয়পুরের বিষয়আশয় থেকে কিছুটা দূরে দূরে রেখেছিলেন অমিত শাহ-জেপি নাড্ডারা। রবিবার রাজস্থানে বিজেপি জিততেই পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে তাই কৌতূহলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে।
রাজস্থানের ঝালরাপাটন থেকে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন বসুন্ধরা। এই আসন থেকেই বরাবর প্রার্থী হন তিনি। এবারও জিতেছেন বসুন্ধরা। তার পর থেকে তাৎপর্যপূর্ণ ভাবেই মোদী-অমিত শাহকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন প্রাক্তন বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীর। সন্দেহাতীত ভাবেই রাজস্থানের ঘুঁটি সাজাতে অমিত শাহর বড় ভূমিকা ছিল। কিন্তু বসুন্ধরা যেরকম প্রশংসা শুরু করেছেন, তাতে অনেকেই বিষয়টি অন্য আঙ্গিকে দেখছেন। তাঁদের মতে, ফের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে নেমে পড়েছেন বসুন্ধরা।
তবে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা ঘরোয়া আলোচনায় স্পষ্টতই জানাচ্ছেন, রাজস্থানের ব্যাপারে এখন কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি দল। বসুন্ধরা বর্তমানে সর্বভারতীয় সংগঠনে সহ সভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁকে কেন্দ্রীয় সংগঠনে রেখে দেওয়া হবে নাকি রাজ্যে পাঠানো হবে সে ব্যাপারে দল আগামী এক দুদিনের মধ্যে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
বসুন্ধরাকে নিয়ে এই দোলাচলের মধ্যেই উঠে আসছে রাজস্থানের রাজ পরিবার থেকে উঠে আসা অন্য এক রাজপুত নেত্রীর নাম। তিনি রাজসমন্দের সাংসদ দিয়া কুমারী। দিয়া হলেন রাজমাতা গায়েত্রী দেবীর নাতনি। এর আগে সওয়াই মাধোপুরের (রণথম্বর এলাকা) বিধায়ক ছিলেন দিয়া। সেখানে শুরুতে তাঁকে বহিরাগত বলে দলে নেতারাই অসহযোগিতা করছিলেন। পরে দিয়া তাঁর কাজ দিয়ে কর্মীদের মন জয় করেন। এক সময়ে দিয়া কুমারীকে রাজনীতিতে এনেছিলেন বসুন্ধরাই। কিন্তু পরে সম্পত্তি ভাগাভাগি নিয়ে বসুন্ধরার সঙ্গে চরম সংঘাত শুরু হয় দিয়ার।
এবারের বিধানসভা ভোটে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকেও প্রার্থী করেছে বিজেপি। গজেন্দ্র কংগ্রেসের অশোক গেহলটের মতই যোধপুরের নেতা। গেহলটের জন্য প্রকাশ্যে বিবাদে জড়িয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী পদে দৌড়ে গজেন্দ্রও রয়েছেন বলে একটি সূত্রের দাবি।
তাছাড়া আলওয়ারের সাংসদ বালক নাথের নামও বিবেচনায় রয়েছে বলে অনেকে মনে করছেন। বালক নাথ উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেতা। এই ভোটেও তাঁর একাধিক মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। কেউ কেউ মনে করছেন, বালক নাথকে মুখ্যমন্ত্রী করে লোকসভা ভোটের আগে মেরুকরণের অস্ত্রে আরও শান দিতে পারে বিজেপি।
চুম্বকে মুখ্যমন্ত্রীর আসন পর্যন্ত পথ বসুন্ধরার জন্য এবার আর মসৃণ নয়। অনেক চরাই উতরাই রয়েছে।