রাজাকে খুনের ছক করেছিলেন তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী সোনম রঘুবংশীর (Sonam Raghubangshi)। অভিযোগ, নিজের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা ও তাঁর তিন বন্ধু বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মিকে সঙ্গে নিয়ে হানিমুনের অছিলায় পরিকল্পিতভাবে রাজাকে খুন করান সোনম।
ফাইল চিত্র
শেষ আপডেট: 16 June 2025 14:44
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হানিমুনে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হয়েছিলেন ইন্দোরের রাজা রঘুবংশী (Raja Raghubanshi Murder case)। সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী সোনম ও তাঁর প্রেমিক-সহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিচারের অপেক্ষায় রঘুবংশী পরিবার। এবার সোনমের বাবা-মা ও দাদা-বৌদির নারকো টেস্টের দাবি তোলেন রাজার দাদা বিপিন রঘুবংশী।
রাজাকে খুনের ছক করেছিলেন তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী সোনম রঘুবংশীর (Sonam Raghubanshi)। অভিযোগ, নিজের প্রেমিক রাজ কুশওয়াহা ও তাঁর তিন বন্ধু বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত এবং আনন্দ কুর্মিকে সঙ্গে নিয়ে হানিমুনের অছিলায় পরিকল্পিতভাবে রাজাকে খুন করান সোনম।
রাজা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করছে মেঘালয়ের বিশেষ তদন্তকারী দল (SIT)। পুলিশ জানিয়েছে, ভাড়াটে খুনি সন্দেহে আটক বিশাল চৌহান, আকাশ রাজপুত ও আনন্দ কুর্মি রাজ কুশওয়াহারই বন্ধু। বিপিন রঘুবংশীর দাবি, 'ঘটনার একের পর এক ভিডিও সামনে আসছে, আমাদের বিশ্বাস এই খুনের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত থাকতে পারে।' একইসঙ্গে যাঁরা ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছেন, তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান তিনি। যদিও মেঘালয় পুলিশের তদন্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছে রাজা রঘুবংশীর পরিবার।
গত ১১ মে ইন্দোরে রাজা ও সোনমের বিয়ে হয়। ২১ মে তাঁরা মেঘালয়ে আসেন মধুচন্দ্রিমার (Honeymoon Murder) জন্য। ২৩ মে চেরাপুঞ্জির সোহরা এলাকা থেকে নিখোঁজ হন তাঁরা। দীর্ঘদিন খোঁজ না মেলায় শুরু হয় তল্লাশি। অবশেষে ২ জুন গভীর জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় রাজার ক্ষত-বিক্ষত মৃতদেহ।
প্রায় ১২০০ কিমি দূরে উত্তরপ্রদেশের গাজিপুর থেকে ধরা পড়েন সোনম। জেরায় তিনি স্বীকারও করে নেন খুনে জড়িত থাকার কথা। তারপরই ধরা পড়েন রাজ কুশওয়াহা এবং বাকি তিন অভিযুক্ত। তাঁদের গ্রেফতার করেছে ইন্দোর পুলিশ। অনেক প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না তদন্তকারীরা। সেই উত্তরের খোঁজে লাগাতার জেরা চলছে অভিযুক্তদের।
ইতিমধ্যেই তদন্তকারীদের হাতে এসেছে ধারাল অস্ত্র। মনে করা হচ্ছে, এই অস্ত্র দিয়েই বারবার কুপিয়ে খুন করা হয়েছিল রাজা রঘুবংশীকে। পুলিশ জানিয়েছে, খুনে ব্যবহৃত অস্ত্রটি কেনা হয়েছিল অসমের গুয়াহাটি রেল স্টেশনের কাছের কোনও এক দোকান থেকে। পরে সেটিই উদ্ধার হয় মেঘালয়ের জঙ্গলের মধ্যে, যেখানে রাজাকে খুন করে ফেলে রাখা হয়েছিল।