রাহুল গান্ধী ও অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ফাইল চিত্র।
শেষ আপডেট: 4th September 2024 11:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দশ বছর পর হরিয়ানায় কংগ্রেস একার শক্তিতে ক্ষমতায় ফিরতে পারে, মনে করছে রাজ্য নেতৃত্ব। রাজ্যের ৯০টি আসনের জন্য তিনটি করে নাম বাছাই করে কংগ্রেস হাইকমান্ডের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস।
কিন্তু বেঁকে বসেছেন রাহুল গান্ধী। তিনি চান কংগ্রেস আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোট করে লড়াই করুক। মঙ্গলবার বেশি রাত পর্যন্ত রাহুল তাঁর দিল্লির বাংলোয় হরিয়ানার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বলেন, আপ ২০টির মতো আসন দাবি করছে। আলোচনার মাধ্যমে তা সাত-আট আসনে নামিয়ে আনা সম্ভব।
গোষ্ঠী নির্বিশেষে হরিয়ানার নেতারা দাবি করেন, রাজ্যের যা পরিস্থিতি তাতে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরা সময়ের অপেক্ষা। এই কথা শোনার পরও রাহুল তাঁর বক্তব্যে অবচিল থাকেন।
রাহুলের ব্যাখ্যা, হরিয়ানার খেলা এখনও অনেকটা বাকি। বিজেপি একক ভাবে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিলেও তারা চেষ্টা চালাচ্ছে ছোট দলগুলির মধ্যে বোঝাপড়া গড়ে তুলে কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসাতে। এই প্রক্রিয়ায় বিএসপি, চন্দ্রশেখর আজাদের ভীম পার্টি, ওমপ্রকাশ চৌতারা জেজেপি প্রভৃতি দল আছে।
রাহুল বলেন, এই পরিস্থিতিতে ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হবে না। এই দলগুলি কংগ্রেসের ভোট কতটা কেটে দিতে পারে সে ব্যাপারে দলের কোনও ধারণা নেই। কিন্তু ভোট যে কাটবে তাতে সন্দেহ নেই। তাই তিনি চান আপের সঙ্গে ৯০টা আসনে লড়াই না করে বোঝাপড়া করা হোক। তাতে খুব বেশি হলে ১০টি আসন ছাড়তে হবে। বাকি ৮০ আসনে কংগ্রেস প্রার্থী দিক।
হরিয়ানায় আপ দুর্বল শক্তি হলেও সেখানে জোরদার প্রচার চালাচ্ছেন কেজরিওয়াল পত্নী সুনিতা। কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, সুনিতাই কেজরিওয়ালের মত নিয়ে বিরোধী দলনেতাকে বার্তা পাঠিয়ে আসন বোঝাপড়ার প্রস্তাব দেন।
হরিয়ানার নেতারা রাহুলকে বলেন, লোকসভা নির্বাচনে কুরুক্ষেত্র আসন আপকে দেওয়া হয়েছিল। তারা কোনও লড়াই-ই করতে পারেনি। হরিয়ানায় আপের শক্তি নেই। তারপরও রাহুল বলেন, আপ ইন্ডিয়া জোটের শরিক। আসন্ন চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটে মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ড এবং জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেস জোট শরিকদের সঙ্গে নিয়ে লড়াই করছে। হরিয়ানাকেও বাদ রাখা ঠিক হবে না।
ফলে আপের সঙ্গে কংগ্রেসের বোঝাপড়ায় একপ্রকার সিল পড়ে গিয়েছে। এখন রাজ্য নেতাদের আপ নেতৃত্বের সঙ্গে বসে ঠিক করতে হবে কোন আসনগুলি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পার্টিকে ছাড়া যায়।