শেষ আপডেট: 30th September 2024 11:48
দ্য ওয়াল ব্যুরো: হরিয়ানায় জয়ের গন্ধ পাচ্ছে কংগ্রেস। দশ বছর পর হাত শিবির উত্তর ভারতের এই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে পারে, বলেছে একাধিক প্রাক নির্বাচনী সমীক্ষা। আভাসকে বাস্তবে রূপ দিতে পথে নামছেন স্বয়ং রাহুল গান্ধী। বোন তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে পাশে নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা সোমবার থেকে চারদিনের বিজয় সংকল্প যাত্রা শুরু করছেন। আর একটু পরেই আম্বালা ক্যান্টনমেন্টের নারায়ণগড় বিধানসভা এলাকা থেকে যাত্রা শুরু করবেন রাহুল। সন্ধ্যায় পৌঁছাবেন কুরুক্ষেত্র। ৩ অক্টোবর পর্যন্ত চলতে দাদা ও বোনের সংকল্প যাত্রা।
হরিয়ানায় বিজেপির জোট সরকারের সংকট ঘণিভূত হতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল পদ্ম শিবিরে অশান্তি তীব্র হচ্ছে। তা তীব্রতর হয় মুখ্যমন্ত্রী বদলকে কেন্দ্র করে। মুখ্যমন্ত্রী না করায় কার্যত বসে গিয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অনিল বিস্ত। দলীয় কোন্দল এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে রবিবার দলের প্রথমসারির দশ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
শাসক শিবিরের অশান্তি সত্ত্বেও স্বস্তিতে নেই কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদের দাবিদার তিন নেতাকে নিয়ে হাত শিবিরও দ্বিধাবিভক্ত। এই পরিস্থিতিতে দলকে ঐক্যবন্ধ করার লক্ষ্যে ময়দানে নামছেন রাহুল-প্রিয়ঙ্কা। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি বিরোধী দলনেতা হওয়ার পর হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীরে প্রথম দলকে জেতানোর চ্যালেঞ্জ রাহুলের কাঁধে। জম্মু-কাশ্মীরে ত্রি-মুখী লড়াইয়ে কংগ্রেসের ক্ষমতায় ফেরার আশা আছে।
অন্যদিকে, হরিয়ানাতেও কংগ্রেস ভাল অবস্থায়। যদিও দলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভূপিন্দর সিং হুডা, ওয়ার্কিং কমিটির দুই সদস্য রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং কুমারী শৈলজা প্রকাশ্যেই হরিয়ানার কুর্সিতে বসার বাসনা ব্যক্ত করে দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছেন। হাত গুটিয়ে বসে থাকেনি রাহুলও। তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত সুরজেওয়ালা এবং শৈলজাকে টিকিট না দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। দু’জনেই এখন সংসদ সদস্য। শৈলজা লোকসভা, রাজ্যসভার সদস্য সুরজেওয়ালা। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি জানিয়ে দেয় সাংসদদের বিধানসভায় টিকিট দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, বিপরীত কৌশল নিয়েছে বিজেপি।
রাহুল, প্রিয়ঙ্কা সোমবার সন্ধ্যায় যাত্রা শেষে কুরুক্ষেত্রে জনসভা করবেন। সেখানে বিজেপির প্রার্থী মুখ্যমন্ত্রী নায়ব সিং সৈনী। এ বছর মার্চে মনোহরলাল খট্টরকে সরিয়ে নায়েব সিংকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। রাজ্য-রাজনীতি থেকে খট্টরকে দূরে রাখতে তাঁকে কেন্দ্রের মন্ত্রিসভায় নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই নায়ব সিংকে মুখ্যমন্ত্রী করে বিজেপি। ফলে হরিয়ানার ভোট মোদীরও জনপ্রিয়তার পরীক্ষা হতে যাচ্ছে।