শেষ আপডেট: 4th October 2024 11:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: মহারাষ্ট্রে বিধানসভা ভোটের নির্ঘণ্ট এখনও ঘোষণা করেনি নির্বাচন কমিশন। মনে করা হচ্ছে আগামী ৮ অক্টোবর জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানার বিধানসভা ভোটের ফল প্রকাশের দিন মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খণ্ডের ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করবে কমিশন। দুই রাজ্যেই প্রথমসারির দলগুলি অবশ্য জোর কদমে প্রচার শুরু করে দিয়েছে।
মহারাষ্ট্রে শুক্রবার কংগ্রেসের প্রচারের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন রাহুল গান্ধী। তিনি শুক্রবার সরাসরি পৌঁছবেন কোলহাপুরে। মহারাষ্ট্রের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের এই এলাকাটি বেছে নেওয়ার পেছনে বিরোধী দলনেতা এবং কংগ্রেসের সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। রাহুল দুদিন এই এলাকায় প্রচার চালাবেন। কোলহাপুর নিয়ে রাহুলের রণনীতি কী? কংগ্রেস সূত্রে খবর কোলহাপুরে রাহুল ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের একটি মূর্তি উন্মোচন করবেন। ছত্রপতি শিবাজীর স্মৃতি বিজড়িত ওই শহরে স্থানীয় কংগ্রেস পুরসভা মূর্তি প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করেছে।
রাহুলের এই মূর্তি ল প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত এক সুনিপুণ রাজনৈতিক কৌশল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। গত মাসে মহারাষ্ট্রে শিবাজী মহারাজের একটি মূর্তি ভেঙে পড়ে। সরকারি উদ্যোগে তৈরি ওই মূর্তিটির এবছরের গোড়ায় উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ওই ঘটনায় বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ পুড়েছে। রাজ্যজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। শিবাজী মহারাজের মূর্তি ভেঙে পড়ায় ঘটনায় মহারাষ্ট্রে দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের পরম শ্রদ্ধেয় হলেন হিন্দু সম্রাট শিবাজী। স্বভাবতই পরিস্থিতি সামলাতে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হয় প্রধানমন্ত্রীকে।
রাহুল এই সুযোগে শিবাজী মহারাজের মূর্তি উদ্বোধন করে বিজেপিকে আরও বিপাকে ফেলতে চাইছেন। তবে কোলহাপুর দিয়ে ভোট প্রচার শুরুর সিদ্ধান্ত পিছনে আরও একটি কারণ আছে। রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেস ওবিসি ভোট ব্যাংক ফেরাতে বিশেষভাবে তৎপর। ১৯০২ সালে কোলহাপুরেই সাহুজি মহারাজ ওবিসি সম্প্রদায়কে নিয়ে বড় সম্মেলন করেছিলেন। শাহুজি মহারাজ মহারাষ্ট্রের একজন স্বনামধন্য সমাজ সংস্কারক। রাহুল শনিবার সেখানে কংগ্রেসের ডাকে ওবিসি সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। তারপর সেখানে জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা তাঁর।
জানা গিয়েছে বিজেপিও কংগ্রেস নেতার কৌশলের পাল্টা চাও দিতে প্রস্তুতি শুরু করেছে। বিজেপি সূত্রে খবর পদ্ম শিবির খুব শিগগির দলিত ও ওবিসি সংগঠনগুলিকে নিয়ে এক সম্মেলনের আয়োজন করতে চলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে সম্মেলন উদ্বোধনের চেষ্টা হচ্ছে। ওই সম্মেলন দিয়েই মোদীও মহারাষ্ট্র বিধানসভার ভোটের প্রচারের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।