শেষ আপডেট: 29th July 2024 18:33
দ্য ওয়াল ব্যুরো: রাহুল গান্ধীর কথা শুনে হেসে আটখানা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সোমবার বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা যখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে কচুকাটা করছেন, তাঁর একটি মন্তব্যে হেসে গড়িয়ে পড়েন নির্মলা। দুহাত দিয়ে মুখ ঢেকে হাসতে দেখা যায় ৬৫ বর্ষীয়া সীতারামনকে। একসময় হালকা হাসি হাসি মুখে তাচ্ছিল্যের ভঙ্গিতে ঘাড় নাড়তেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু, কেন রাহুলের কথা শুনে এত হাসি ফুটে উঠল নির্মলার মুখে?
এদিন কংগ্রেস নেতা রাহুল লোকসভায় বাজেট প্রস্তুতের শেষদিনে আয়োজিত হালুয়া উৎসবের একটি ছবি তুলে ধরেন। তা নিয়ে ব্যাপক রেগে যান স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি বারবার নিষেধ করতে থাকেন ছবি তুলে দেখানোর বিষয়ে। কিন্তু, সেই সময় রাহুলের অঙ্গভঙ্গি ও কথা শুনে আসনে বসেই হাসতে থাকেন নির্মলা। দুহাতে মুখ ঢেকে হাসি আড়াল করার চেষ্টা করেন তিনি।
এদিন বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে রাহুল সরকারকে তেড়েফুঁড়ে আক্রমণ করেন। তিনি মহাভারতের চক্রব্যুহ-র দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন। চক্রব্যুহে যেভাবে অভিমন্যুকে ফাঁদে ফেলে নিধন করা হয়েছিল, ঠিক সেভাবেই দেশের জনসাধারণকে ফাঁদে ফেলে মারার চক্রান্ত করছে বিজেপি।
সেই ফাঁকেই রাহুল গান্ধী হালুয়া উৎসবে নির্মলা সীতারামনের ছবি তুলে ধরেন। যা নিয়ে তীব্র আপত্তি তোলেন স্পিকার ওম বিড়লা। তিনি রাহুলকে সতর্ক করে বলেন, এটা সভার রীতিবিরুদ্ধ। এই সময় বিরোধী দলনেতা বলেন, আমি এই ছবি দেখিয়ে বলতে চাই বাজেট হালুয়া বিলির সময় একজনও অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির অফিসারকে দেখা যাচ্ছে না। এমনকী একজনও আদিবাসী কিংবা দলিত অফিসারও ফ্রেমে নেই। কী হয়েছে তাহলে? দেশের বাজেটের হালুয়া বিলি হচ্ছে কিন্তু তাঁরা ছবিতে নেই!
রাহুল এই কথা বলা মাত্র নির্মলা সীতারামন হাসিতে ফেটে পড়েন। দুই হাতের তালু কপালে ঠেকিয়ে মুখ ঢাকেন হাসি গোপন করতে। এরপরেই সভায় তুমুল হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। তার মধ্যেই রাহুল বলতে থাকেন, স্যার আপনি হালুয়া পাচ্ছেন কিন্তু বাকি কেউ হালুয়া পাচ্ছেন না। আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি বাজেট প্রস্তুতির কাজে ২০ জন অফিসার যুক্ত ছিলেন। আপনি যদি তাঁদের নাম জানতে চান, আমি তাঁদের নামও বলতে পারি।
পরে রাহুল গান্ধী এক্সবার্তায় লিখেছেন, আজ সংসদে আমি যখন জাতিভিত্তিক জনগণনার প্রসঙ্গে বলছিলাম, তখন অর্থমন্ত্রী হেসেছিলেন এবং এমন একটি গুরুতর বিষয়কে নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। এতেই বিজেপির মনোভঙ্গি ও উদ্দেশ্য বোঝা যায়। যদিও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর তরফে এ পর্যন্ত কোনও জবাব মেলেনি।