দ্য ওয়াল ব্যুরো: আমেরিকা সফরে গিয়ে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়ার নিরপেক্ষতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করায় যারপরনাই চটেছে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি। বরাবর বিদেশে গিয়ে নিজের দেশের বদনাম করা বিরোধী দলনেতার বর্তমান মার্কিন সফরকে বিজেপি ভারত বদনাম যাত্রা নাম দিয়ে লোকসভার এমপি রাহুলকে ভারত-বিরোধী বলে মন্তব্য করেছে।

গত রবিবার রাহুল আমেরিকায় পৌঁছেছেন। সেখানে এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় বলেন, ভারতের নির্বাচন কমিশন মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে সমঝোতা করে নিয়েছিল। তাঁর দাবি, ওখানে কিছু একটা ঘটেছিল, যা সঠিক পদ্ধতিতে হয়নি। সিস্টেমেই ভুল ছিল। তিনি প্রশ্ন তোলেন, মহারাষ্ট্র ভোটে বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সাড়ে ৭টার মধ্যে কী করে ৬৫ লক্ষ ভোট পড়েছিল।

রবিবার সন্ধ্যায় বস্টনের প্রবাসী ভারতীয়দের এক অনুষ্ঠানে রাহুল আরও বলেন, এটা অত্যন্ত পরিষ্কার যে, ভারতের নির্বাচন কমিশন আপস করে নিয়েছিল। গোটা প্রক্রিয়ায় কিছু নিশ্চই গলদ ছিল। দুদিনের আমেরিকা সফরে রাহুল গান্ধী রোডে-তে ব্রাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-পড়ুয়াদের সঙ্গেও এক অনুষ্ঠানের মিলিত হবেন।

রাহুল ঠিক কী বলেছেন?

১। আমি এর আগেও বহুবার বলেছি যে, মহারাষ্ট্রে ভোটদাতার তুলনায় অনেক বেশি ভোট পড়েছে। কমিশন আমাদের বিকেল সাড়ে ৫টা ভোটদানের পরিসংখ্যান জানিয়েছিল। কিন্তু, তার পরেও সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ৬৫ লক্ষ ভোট পড়ল কীভাবে?

২। ২ ঘণ্টায় ৬৫ লক্ষ ভোটদান অসম্ভব! কারণ একজনের ভোট দিতে ন্যূনতম ৩ মিনিট সময় লাগার কথা। আপনার যদি সামান্য অঙ্কের জ্ঞান থাকে, তাহলেই বুঝতে পারবেন, ভোট শেষ হতে রাত ২টো বেজে যেত। কিন্তু, তা হয়নি।

৩। আমরা যখন ভোটদানের ভিডিওগ্রাফি চেয়েছিলাম, তখন নির্বাচন কমিশন তা দিতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, ওরা আইনই বদলে দিল, যাতে আমাদের ভিডিও চাওয়ার কোনও রাস্তা না খোলা থাকে।

রাহুলের জবাবে বিজেপির বক্তব্য কী?

বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র কংগ্রেসের বিরোধী দলনেতার এইসব অস্বচ্ছতার অভিযোগের জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধীর পুরনো স্বভাবই হল, বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে দেশকে অপমান করা, অপবাদ দেওয়া। দীর্ঘদিন ধরে তিনি এই একই কাজ করে চলেছেন। ইডি ইতিমধ্যেই রাহুল ও প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধে চার্জশিট দিয়েছে। দেশের টাকা লুটের জন্য তাঁদের জেলেও যেতে হতে পারে। কংগ্রেস দেশে একটা অশান্তির পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করছে, বলেন সম্বিত পাত্র।