শেষ আপডেট: 22nd December 2023 14:06
দ্য ওয়াল ব্যুরো: লোকসভায় ঝাঁপ কাণ্ড নিয়ে শুক্রবার বিজেপিকে চরম কটাক্ষ করলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিন যন্তর মন্তরে ধর্না মঞ্চ থেকে রাহুল বলেন, “দু’জন ছেলে ঝাঁপ দিয়েছিল। তার পর ঝাঁপ দিয়েই কিছুটা ধোঁয়াও ছড়িয়ে দেয়। তা দেখেই বিজেপির সব সাংসদ দৌড়ে পালিয়ে যায়।” রাহুলের কথায়, “যাঁরা নিজেদের দেশভক্ত বলেন, তাঁদের ধোঁয়া দেখেই হাওয়া বেরিয়ে যায়। সেটা টিভিতে দেখা যায়নি। ভিতরে যাঁরা ছিলেন তাঁরা দেখতে পেয়েছেন।”
রাহুলের বক্তব্য, প্রথম প্রশ্ন হল, সংসদের মধ্যে যদি ওরা গ্যাসের ক্যানিস্টার নিয়ে ঢুকতে পারে, তা হলে অন্য কিছু নিয়েও ঢুকতে পারত। তাই নিরাপত্তার ত্রুটি তো ছিলই। দ্বিতীয় বিষয় হল, কর্মসংস্থানের অভাব। এই ঘটনাই দেখিয়ে দিচ্ছে, কাজের অভাবের কারণে যুব সমাজ কতটা হতাশ, কতটা বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে।
লোকসভায় ঝাঁপ কাণ্ড নিয়ে প্রথম দিন থেকেই একটা ন্যারেটিভ তৈরির চেষ্টা করেছে বিজেপি। তা হল, এই সব প্রতিবাদীদের উৎসাহ দিচ্ছেন বামপন্থী ও কংগ্রেসিরা। সংসদের নিরাপত্তায় বড় গলদ নিয়ে কৌশলগত ভাবেই শাসক শিবির নিরুত্তর।
কংগ্রেস আবার সেই জায়গাটাতেই চেপে ধরতে চাইছে। বাম ও কংগ্রেস মিলে লোকসভায় ওই ঝাঁপকাণ্ডে মৌলিক প্রশ্ন তুলে ধরতে শুরু করেছে মোদী সরকারের উদ্দেশে। তাঁদের বক্তব্য, আপাত ভাবে মনে হচ্ছে না নাশকতা ওদের উদ্দেশ্য ছিল। কারণ, লোকসভায় ঝাঁপ দিয়ে দুই যুবক যে ধোঁয়া ছড়িয়েছিল তা বিষাক্ত ছিল না। ওরা একটা বার্তা দিতে চেয়েছিল। দেশে বেকারত্বের পরিস্থিতি নিয়ে ওদের অসন্তোষ রয়েছে। সেই কথাই বোঝাতে চেয়েছিল।
সংসদে নিরাপত্তার ত্রুটি নিয়ে লোকসভায় ও রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহের বিবৃতি দাবি করেছিলেন বিরোধীরা। কিন্তু তাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজি হননি। উল্টে সংসদে হট্টগোল করার কারণে দুই সভা থেকে প্রায় দেড়শ জন বিরোধী সাংসদকে সাসপেন্ড করা হয়। শুক্রবার তারই প্রতিবাদে যন্তর মন্তরে প্রতিবাদ সভা করেন ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা।