শেষ আপডেট: 8th March 2025 20:21
দ্য ওয়াল ব্যুরো: প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি দল তাই গুজরাতের (Gujrat) মানুষ তাঁদের সমর্থন করেননি। স্বীকার করেলেন খোদ কংগ্রেস সাংসদ (Congress MP) রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। শনিবার আমেদাবাদে (Ahmedabad) কর্মীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, জনগণের কাছে ভোট চাওয়ার আগে কংগ্রেস দলকে প্রথমে তার দায়িত্ব পালন করতে হবে।
রাহুল বলেন, গুজরাতবাসী যেটা আশা করে, সেটা কংগ্রেস দিতে পারেনি। সেকারণেই রাজ্যে ৩ দশক ক্ষমতা থেকে দূরে হাত শিবির। আর যতদিন না সেটা দূর করা যাচ্ছে, মানুষের কাছে সমর্থন প্রত্যাশা করাই উচিত নয়।
গুজরাতে প্রায় ৩ দশক ক্ষমতার ধারেকাছে পৌঁছতে পারেনি কংগ্রেস। শেষবার মান রেখেছিল ২০১৭ সালে। তবে সেবারও বিজেপির কাছে ভরাডুবি হয়েছিল হাত শিবিরের। এরপর ২০২২ সালের ভোটে ভরাডুবি হয় কংগ্রেসের। তারপর থেকে আর দৌড়ে টিকে থাকতে পারেনি তারা। প্রত্যেকবার বাজিমাত করেছে বিজেপি। তবে এবার আগেভাগেই গুজরাত দখলে নামলেন কংগ্রেস সাংসদ। ২০২৭-এর লক্ষ্যে প্রস্তুতিটা শুরু করলেন শনিবার থেকেই।
রাহুল মনে করিয়ে দেন, গুজরাতের মানুষ উন্নয়নের দিশা চায় কংগ্রেসের থেকে। বিকল্পের খোঁজ করছে গোটা গুজরাত। তবে আমরা বিকল্প হিসাবে কংগ্রেসকে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছি। তবে সনিয়া তনয় বলেন, আমরা যদি আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি, গুজরাটের মানুষই আমাদের ভোটে জিতিয়ে দেবেন।
তবে এখানেই শেষ নয়, এদিন গুজরাত থেকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা দলের কর্মীদের রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। পরিস্কার জানিয়েছেন, একদল আছেন যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান। আর এক দল আছেন যারা ভীতু। কংগ্রেসে থেকে বিজেপির হয়ে কাজ করছেন। কেউ কেউ সোজা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বিরোধী দলনেতার কথায়, কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যেও সিংহের মতো লড়াই করার ক্ষমতা আছে। কিন্তু প্রত্যেকের পিছনে শিকল বাঁধা।
এদিন নাম না করে নিজের দলের নেতাদের একাংশের বিরুদ্ধেই দল বিরোধী কাজের অভিযোগ তোলেন রাহুল। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতির অভিযোগ, কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতা বিজেপির হয়ে কাজ করছেন! প্রয়োজনে ৩০-৪০ জন নেতাকে ছেঁটে ফেলা হবে বলেও সাফ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওয়েনাড়ের সাংসদ।
তবে দলের সমালোচনা করতেই রাহুলকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, রাহুল নিজেকে এবং তাঁর দলকে ট্রোল করেছেন। তিনি নিজেকে আয়না দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। রাহুল গান্ধী স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছেন যে তাঁদের দল জিততে পারছে না, দিশা দেখাতে পারছে না।