শেষ আপডেট: 15th February 2024 12:19
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পাঞ্জাবে আসন সমঝোতা হবে না। দিল্লিতে কংগ্রেসকে একটি আসন ছাড়া যেতে পারে এবং গুজরাতেও তারা প্রার্থী দেবে।
আম আদমি পার্টির একের পর এক ঘোষণায় বিচলিত কংগ্রেস নেতৃত্ব। পরিস্থিতির মোড় ঘোরাতে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজিরিওয়ালকে ফোন করলেন রাহুল গান্ধী। দু’জনের মধ্যে প্রায় ৩৫ মিনিট কথা হয় বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, রাহুল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে বলেন, আলোচনার দরজা বন্ধ করবেন না। নতুন করে আলোচনা শুরু হোক। কিন্তু কংগ্রেস নেতাকে হতাশ করেছে কেজরিওয়ালের জবাব, এমনটাই কংগ্রেস সূত্রের খবর। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। আম আদমি পার্টির নেতা-কর্মীরা ময়দানে নেমে পড়েছেন।
পাঞ্জাবের আপ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান ক’দিন আগেই ঘোষণা করেন, তাঁরা কোনও আসন সমঝোতায় নেই। এরপরই দিল্লি ও গুজরাতের আপ নেতৃত্বও কার্যত কংগ্রেসের সঙ্গে আসন বোঝাপড়া নসাৎ করে দেয়। ফলে ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স নিয়ে চরম সমস্যায় পড়েছে কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্ব কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। এ রাজ্যে অবশ্য উল্টোটাও ঠিক। দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্ব চাইলেও রাজ্য নেতারা তৃণমূলের পরিবর্তে বামেদের সঙ্গে বোঝাপড়া করতেই বেশি আগ্রহী।
বিহারে নীতীশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড এবং উত্তর প্রদেশে রাষ্ট্রীয় লোকদল ইন্ডিয়া জোট ছেড়ে যাওয়ায় কংগ্রেস নেতৃত্ব ইন্ডিয়া জোটে ক্রমে কোণঠাসা হতে শুরু করেছে। সেই সুযোগে আপ নেতৃত্ব চোখ রাঙাচ্ছে বলে মনে করছে হাত শিবির। জানা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে রাহুল নতুন করে আলোচনা শুরুর আর্জি জানান। তিনি বলেন, আপ একতরফা সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দিয়েছে।
দিল্লির বিষয়ে আপের বক্তব্য, রাজধানীর একটি আসনও কংগ্রেসের পাওয়ার কথা নয়। অতীতের ভোটের অঙ্কে দেখা যাচ্ছে খুব বেশি হলে একটি আসন ছাড়া যেতে পারে। কংগ্রেস সেখান থেকে জিতে আসতে পারবে কি না তা নিয়েও সংশয় আছে।
অন্যদিকে, গুজরাতে বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াইয়েও থাবা বসাতে চাইছে আপ। একাধিক আসনে তারা প্রার্থী দেবে বলে ঠিক করেছে। এরমধ্যে ভারুচ আসনটি নিয়ে তীব্র মতভেদ দেখা দিয়েছে। ওই আসনে দলের জয় নিশ্চিত, দাবি কংগ্রেসের। দল সেখানে প্রয়াত নেতা আহমেদ প্যাটেলের মেয়েকে প্রার্থী করতে চায়। অন্যদিকে, আপের দাবি, ভারুচ তাদের জন্যও নিরাপদ আসন। সব মিলিয়ে রাহুলের ফোনে বরফ তেমন গলেনি। তবে কংগ্রেস নেতার মান রক্ষায় কেজরিওয়াল দলকে ফের আলোচনায় বসার পরামর্শ দিতে পারেন।