শেষ আপডেট: 7th July 2024 18:05
দ্য ওয়াল ব্যুরো: উত্তরপ্রদেশের হাথরাসের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২১ জনের। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী। স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন তিনি।
এবার উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লিখলেন সংসদের বিরোধী দলনেতা। চিঠিতে তিনি হাথরাস কাণ্ডে ক্ষতিপূরণের অর্থ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। পাশাপাশি মর্মান্তিক ওই দুঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপেরও আর্জি জানিয়েছেন রাহুল।
গত মঙ্গলবার নারায়ণ সাকার ওরফে ‘ভোলে বাবা’ নামে স্বঘোষিত এক ধর্মগুরুর ডাকে হাথরাসে 'সৎসঙ্গ' অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার পরই তাড়াহুড়োতে বেরোতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। পদপিষ্ট হয়ে মহিলা ও শিশু সহ শতাধিক মানুষের মৃত্য হয়েছে। ঘটনার দিন কয়েকের মধ্যেই হাথরসে এসে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন রাহুল। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে নিজের সেই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছে তিনি। সঙ্গে ক্ষতিপূরণের বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে বলেছেন কংগ্রেস সাংসদ। শুধু তা-ই নয়, হাথরসে নিহতদের পরিবার এবং আহতদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের কী করা উচিত, সে ব্যাপারে যোগীকে পরামর্শও দিয়েছেন রাহুল।
চিঠির একটি প্রতিলিপি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন রাহুল। যেখানে তিনি লিখেছেন,‘উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফে মৃতদের পরিবারের জন্য যে অর্থ সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয়। আমার অনুরোধ সরকারের তরফে এই টাকার অঙ্ক বাড়ানো হোক। যত দ্রুত সম্ভব সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। একইসঙ্গে আহতদের চিকিৎসার জন্যও অর্থসাহায্য বাড়ানো প্রয়োজন।’ উল্লেখ্য, হাথরসের ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য মাথাপিছু ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে যোগী সরকার।
हाथरस में भगदड़ हादसे से प्रभावित पीड़ित परिवारों से मुलाकात कर, उनका दुख महसूस कर और समस्याएं जान कर उत्तर प्रदेश के माननीय मुख्यमंत्री योगी आदित्यनाथ जी को पत्र के माध्यम से उनसे अवगत कराया।
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) July 7, 2024
मुख्यमंत्री जी से मुआवजे की राशि को बढ़ाकर शोकाकुल परिवारों को जल्द से जल्द प्रदान… pic.twitter.com/omrwp3QGNP
হাথরাসের ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে একের পর এক বেনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, স্থানীয় প্রশাসন ৮০ হাজার জনের জমায়েতে অনুমোদন দিলেও সেখানে উপস্থিত ছিলেন আড়াই লক্ষের বেশি মানুষ। শুধু তাই নয়, অভিযোগ উঠেছে যে আয়োজকরা পদপিষ্টের ঘটনার পরে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টাও করেছেন।