শেষ আপডেট: 31st August 2024 15:32
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের বিস্ফোরণ মালয়ালম সিনেমা জগতে। বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রাধিকা শরৎকুমার অভিযোগ তুললেন শ্যুটিংয়ের সময় অভিনেত্রীদের নগ্ন ছবি তোলা হতো গোপন ক্যামেরায়। তাঁর অভিযোগ, আউটডোর শ্যুটিংয়ে সাজগোজের জন্য ভ্যানিটি ভ্যান বা ক্যারাভ্যান থাকে তাতে গোপনে ক্যামেরা লুকিয়ে রাখা থাকত। সেই ক্যামেরায় অভিনেত্রীদের পোশাক বদলের সময় নগ্ন ছবি তোলা হতো। তাঁর আরও অভিযোগ, পুরুষ অভিনেতাদের মোবাইলে রসিয়ে রসিয়ে সেই ভিডিও দেখতেও দেখেছেন তিনি।
তামিলনাড়ুর এই অভিনেত্রী রাধিকার এই বিস্ফোরক অভিযোগের সঙ্গে সঙ্গেই নতুন করে শিউরে উঠেছে সিনেমা জগৎ। এশিয়ানেট নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, অভিনেতাদের মোবাইলে নায়িকাদের নগ্ন ছবি দেখার দৃশ্য দেখে তিনিও ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। কেরলের একটি সেটের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ওদের হাসতে দেখে আমি এক কর্মচারীকে জিজ্ঞাসা করে বিষয়টি জানতে পারি।
এদিকে, মালয়ালম সিনেমা জগতের অন্ধকার দিক নিয়ে প্রকাশিত হেমা কমিটির রিপোর্টকে শনিবার স্বাগত জানিয়েছেন সদ্য পদত্যাগী শিল্পী সংগঠনের সভাপতি অভিনেতা মোহনলাল। তিনি আরও বলেন, তাঁর দায়িত্বে থাকা সময়ে যখন ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, তখন তিনি দায় এড়িয়ে সরে যাবেন না। মোহনের কথায়, অ্যাসোসিয়েশন অফ মালয়ালম মুভি আর্টিস্টস কোনও শ্রমিক সংগঠন নয়। এটা পরিবারের মতো। উল্লেখ্য, হেমা কমিটি রিপোর্ট প্রকাশের পর এই প্রথম মুখ খুললেন মোহনলাল।
অন্যদিকে, প্রখ্যাত অভিনেতা তথা সিপিএম বিধায়ক মুকেশের বিরুদ্ধে যৌন নিগ্রহের অভিযোগ উঠলেও মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের বরহস্তে তিনি আপাতত ইস্তফা দিচ্ছেন না বিধানসভা থেকে। কংগ্রেস সহ বিরোধী ইউডিএফের শরিক দলগুলি মুকেশের পদত্যাগের দাবি করে চললেও শনিবার তিরুবনন্তপুরমের সাংসদ শশী তারুর বিরোধী নেতার পক্ষ অবলম্বন করলেন। তাঁর মতে, মুকেশের অধিকার আছে এই ইস্যুতে নিজেকে স্বচ্ছ বলে প্রমাণ করার। শিল্পী সংগঠন আম্মায় গণইস্তফাকে যুক্তিযুক্ত বলে মনে করলেও তারুর মুকেশের ক্ষেত্রেও তা প্রযোজ্য বলে মনে করছেন না।