দুর্ঘটনাগ্রস্ত পোর্শে গাড়ি।
শেষ আপডেট: 25 May 2024 18:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুণেতে বহুমূল্যের পোর্শে গাড়ির ধাক্কায় দুই তথ্যপ্রযুক্তি ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যুর ঘটনায় তরুণ গাড়ি চালকের ঠাকুর্দাকে ২৮ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। ঠাকুর্দার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি পারিবারিক গাড়ি চালক, যিনি দুর্ঘটনার সময় গাড়িতেই ছিলেন, তাঁকে সব দায় নিজের ঘাড়ে নিতে চাপ সৃষ্টি করেছিলেন। সেই কথা প্রকাশ্যে আসতেই শনিবার সকালে পুলিশ গ্রেফতার করে তাঁকে।
৪২ বছর বয়সি ওই চালক পুলিশের কাছে এক বিবৃতিতে জানান, দুর্ঘটনার পরই তাঁর কাছে ওই নাবালক ধনীর দুলালের ঠাকুর্দা তাঁকে ফোন করেন। চালকের বয়ান অনুযায়ী, উনি ফোন করেই আমাকে প্রথমে চিৎকার করে গালমন্দ করেন। তারপর উনি আমাকে জোর করে ওনাদের বাংলোতে নিয়ে যান।
তিনি পুলিশকে আরও জানান, তরুণের বাবা ও ঠাকুর্দা দুজনে মিলে তাঁর মোবাইল কেড়ে নেন। বাংলোতে তাঁকে আটকে রেখে দেওয়া হয়। আমাকে বলা হয়, পুরো দায় নিজের ঘাড়ে নিতে। ঠাকুর্দা হুমকির সুরে বলেন, এই ঘটনার কথা যদি পাঁচকান হয়, কিংবা আমি কারও কাছে বলি, তাহলে মনে রাখবি...।
চালকের বয়ান অনুযায়ী পুলিশ পুণের ধনকুবের আগরওয়াল পরিবারের কর্তাকে গ্রেফতার করে। অবশ্য আগেই ওই তরুণের বাবাকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তিনি এখন জেল হেফাজতে আছেন। কিন্তু, ঠাকুর্দার বিরুদ্ধে জোর করে আটকে রাখা, অপহরণ এবং অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের ধারায় মামলা করায় তাঁকে পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আদালতে পুলিশ বলেছে, পারিবারিক গাড়ি চালকের ফোনটি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই তাঁকে জেরার প্রয়োজন আছে। পুণের পুলিশ কমিশনার আগেই জানিয়েছিলেন, চালককে দায় কাঁধে নেওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ টাকার টোপ দেওয়া হয়েছিল।