বন্যায় বিপর্যস্ত পুণে।
শেষ আপডেট: 25th July 2024 13:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: বৃষ্টি বেড়েই চলেছে মহারাষ্ট্রের একাধিক এলাকায়। মুম্বই এবং আশপাশের এলাকা প্রবল বর্ষণে বিপর্যস্ত। আন্ধেরি, সায়ন, চেম্বুর, কুর্লা এবং ঠাণে প্রায় অবরুদ্ধ। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পুণের। বহু জায়গা কোমর সমান জলের তলায়। ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গিয়েছেন তিনজন। মাটি ধসে পড়ায় চলে গেছে আরও একটি প্রাণ।
জানা গেছে, পুণের স্কুলগুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু আবাসনের ভিতরেও জল ঢুকে গিয়েছে। বিপর্যয় মোকাবিলার তিনটি দল একতা নগর, সিংহগড় রোড এবং ভার্জে এলাকায় উদ্ধারকাজে নেমেছে। কোমর জল ঠেলে চলছে উদ্ধারকাজ। খড়কওয়াসলা বাঁধ উপচে পড়ছে। একাধিক ব্রিজ জলের তলায়। মুথা নদীর তীরবর্তী বাসিন্দাদের অন্যত্র সরার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
আজ, বৃহস্পতিবার ভোরে ডেকান জিমখানা এলাকায় তিনজন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন। অভিষেক ঘানেকার, আকাশ মানে এবং শিব পারিহার নামের ওই তিনজন রাস্তায় খাবার বিক্রি করতেন। তাঁদের হাতগাড়িটি জলে ভেসে যাওয়ায় সেটি উদ্ধার করতে জলে নেমেছিলেন তাঁরা, সেখানেই সব শেষ। পুণে-কোলাড় সড়কে তামহিনি ঘাটের কাছে মাটি ধসে এক জনের মৃত্যু হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে উপমুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ার বৈঠকে বসেছেন এবং জেলা প্রশাসনকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। পুনের কালেক্টর সুহাস দিওয়াসে জেলার সমস্ত ট্যুরিস্ট স্পট ৪৮ ঘণ্টার জন্য বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি আরও বলেছেন, জলে ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় সেতুগুলোতে যান চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে। জেলা প্রশাসন এলাকাবাসীদের খুব দরকার ছাড়া বাড়ি থেকে বেরোতে বারণ করেছে।
মুম্বইয়ের আন্ধেরি সাবওয়ে ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন জানিয়েছে, যে শহরে জল সরবরাহকারী সাতটি লেকের মধ্যে তিনটি উপচে পড়েছে। ফলে পানীয় জলের সংকটও দেখা যেতে পারে।