শেষ আপডেট: 24th October 2024 12:55
দ্য ওয়াল ব্যুরো: আশঙ্কাই সত্যি হল। সোমবার রাতেই গ্রেটার নয়ডার ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ির মধ্যেই জীবন্ত দগ্ধ হয়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। কীভাবে এমন পরিণতি হল সঞ্জয় যাদব নামে বছর আঠাশের ওই যুবকের তা নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। ঘটনার তদন্তে নেমে চাঞ্চল্যকর দাবি করল পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, কোনও আকস্মিক মৃত্যু নয়। সঞ্জয়কে গলায় কুকুরের বেল্ট পেঁচিয়ে খুন করেছে তাঁরই দুই বন্ধু। ইতিমধ্যে অভিযুক্ত বিশাল রাজপুত এবং জিৎ চৌধুরী নামের দুই বন্ধুকে গ্রেফতার করে জেরার পরেই পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায় পুলিশের কাছে।
সূত্রের খবর, মৃত ব্যবসায়ীর পরিবার ছেলের মৃত্যুর জন্য এই দুই বন্ধুর বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই অভিযোগ জানিয়ে আসছিল। পরিবারের অভিযোগ, দুই অভিযুক্তকে সম্প্রতি পাঁচ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন সঞ্জয়। সেই টাকা ফেরত চেয়ে চাপ দিতে থাকলেই বাধে গণ্ডগোল।
পরিবারের তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে পুলিশ বিশাল এবং জিতকে আটক করলেও পরে জেরার মুখে দুজনেই নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, লাগাতার জেরার মুখে অভিযুক্তরা জানিয়েছে পরিকল্পনা করেই তারা বন্ধু সঞ্জয়কে খুন করেছে। সোমবার সন্ধেয় বিয়ার খাওয়ার নাম করে তাঁকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সঞ্জয়ের ফরচুনার গাড়িতে বসেই চলে মদ্যপান। কিছুক্ষণের মধ্যেই কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় সঞ্জয়ের গলায় কুকুরের বেল্ট পেঁচিয়ে মারার অভিযোগ ওঠে।
তবে এখানেই থেমে থাকেনি অভিযুক্তরা। বন্ধুকে শ্বাসরোধ করে খুনের পর শরীরে থাকা গয়না ও টাকা লুঠ করে গাড়ির ভিতরেই তাঁকে জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। যদিও দুজনে পালালে লাভ কিছুই হয়নি। ঘটনার কিছু সময় পরেই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে দুজনকে পাকড়াও করে পুলিশ।
অভিযুক্তদের থেকে সঞ্জয়ের গলার চেন, দুটি সোনার আঙটি, ব্রেসলেট ও টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিসিপি অশোক কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত বিশাল রাজপুত এবং জিত চৌধুরী সঞ্জয়কে জোর করে বিয়ার খাওয়ায়। কিছুক্ষণ পর একটু অচৈতন্য হতেই ব্যবসায়ীর জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। খুনের পর বন্ধুর লাশটি বেপাত্তা করেতেই তারা একটি নির্জন এলাকায় যায়। এরপরই নিজেদের দোষ ঢাকতে পেট্রোল দিয়ে গাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বলে অভিযোগ।