শেষ আপডেট: 17th March 2025 19:26
দ্য ওয়াল ব্যুরো: ফের খবরের শিরোনামে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) হাথরাস (Hathras)। নিজের কলেজের ছাত্রীদেরই যৌন নির্যাতন (Assault) ও পরে সেই ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেলের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠল অধ্যাপকের (Professor) বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে শেঠ ফুলচাঁদ বগলা কলেজে।
সূত্রের খবর, অভিযুক্ত অধ্যাপকের নাম রজনীশ কুমার। তিনি কলেজের প্রধান প্রক্টর (Chief Proctor) পদে রয়েছেন। অভিযোগ, পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাইয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে কলেজ শেষ হয়ে গেলে চাকরির টোপ দেখিয়ে একাধিক ছাত্রীকে কলেজের মধ্যেই ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থা করেছেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই কলেজ কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত অধ্যাপককে বরখাস্ত করেছে। তবে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রজনীশ। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, থানার পাশাপাশি মহিলা কমিশনেও রজনীশের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ জমা পড়ে। তদন্তে নেমে জানা যায়, অভিযুক্ত শুধু এক জন ছাত্রীকেই নন, আরও অনেককেই যৌন হেনস্থা করেছেন। ইতিমধ্যে ছাত্রীদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ।
বিষয়টি সামনে আসে সম্প্রতি হাথরসের ওই কলেজের কিছু আপত্তিকর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর। ঘটনার তদন্তে নেমে কলেজের অধ্যাপকের এমন কুকীর্তি জানতে পারে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ১০ মাস আগে, পুলিশের হাতে একটি বেনামি চিঠি পৌঁছয় যেখানে অধ্যাপকের বিরুদ্ধে নানা প্রলোভন দেখিয়ে জোর করে ছাত্রীদের যৌন কার্যকলাপে লিপ্ত করাতেন। অভিযোগ বিষয়টি বারবার জানালেও কলেজের তরফে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি। উল্টে অধ্যাপক ছাত্রীদের প্রাণে মারার হুমকি দিতে থাকেন।
অভিযোগের পাশাপাশি একটি পেন ড্রাইভ হাতে এসেছে পুলিশের। যেখানে অধ্যাপকের কুকীর্তির কমপক্ষে ৫৯টি ভিডিও রয়েছে। অভিযোগ, অধ্যাপক গোপন ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও রেকর্ড করতেন এবং পরে ব্ল্যাকমেল করতেন।
রজনীশের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, যৌন হেনস্থা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। মামলা দায়ের করার পরই প্রধান প্রক্টর পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় অধ্যাপককে। তবে তদন্তের ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে অভিযোগকারীর রেকর্ড করা বিবৃতি নিয়েই। যেখানে দাবি করা হচ্ছে ভিডিওগুলি ২০২৩ সালের। তবে হয়রানি ও নাম খারাপ হওয়ার আশঙ্কায় অনেক ছাত্রীই ভয়ে মুখ বন্ধ করে আছেন বলে খবর।