Advertisement
সেনাপ্রধান ফের একবার হুমকির সুরে বলেন, পাকিস্তান যে কোনও প্রতি আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত।
Advertisement
শেষ আপডেট: 26 April 2025 13:30
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পহলগামে জঙ্গি হানায় গণহত্যার পর পড়শি ভারতের রগচটা মনোভাব দেখে ও আন্তর্জাতিক দিক দিয়ে কোণঠাসা পাকিস্তান এখন সন্ত্রাসবাদে মদতের দায় পাশ কাটানোর চেষ্টা করছে। পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শনিবার বলেন, পহলগাম হামলায় যে কোনও 'নিরপেক্ষ এবং স্বচ্ছ' তদন্ত করতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ। যদিও দেশের সেনাপ্রধান ফের একবার হুমকির সুরে বলেন, পাকিস্তান যে কোনও প্রতি আক্রমণের জবাব দিতে প্রস্তুত। দেশকে রক্ষা করতে সক্ষম পাক সেনাবাহিনী।
পাকিস্তানের কাকুলে সেনাবাহিনী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের উত্তীর্ণদের জন্য আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাক প্রধানমন্ত্রী শরিফ বলেন, পহলগামে দুঃখজনক ঘটনা অতীতের মতোই দায় চাপানোর আরেকটি দৃষ্টান্ত। যা এবারে থামানোর প্রয়োজন। পাকিস্তানই যত নষ্টের মূল এই ধারণা কাটাতে আমরা যে কোনও নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও বিশ্বাসযোগ্য তদন্তে প্রস্তুত। অর্থাৎ, ইসলামাবাদের প্রশাসন ফের একবার জম্মু-কাশ্মীর সমস্যার সমাধানে তৃতীয় মধ্যস্থতার দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত দিতে চেয়েছে। প্রথম থেকে যার বিরোধিতা করে এসেছে ভারত।
ভারত কোনওরকম প্রামাণ্য তথ্য ছাড়া, তদন্ত না করেই বারবার পাকিস্তানের উপর ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগ খাড়া করে এসেছে। এই কূটনীতিকে এক জাতীয় চাপ সৃষ্টি করা বলে ব্যাখ্যা করেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে সেনাপ্রধানের সুরে প্রধানমন্ত্রী এও বলেন যে, আমাদের বীর সেনাবাহিনী অত্যন্ত দক্ষ, ক্ষমতাবান এবং দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করার জন্য প্রস্তুত হয়ে রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মহম্মদ আলি জিন্নার কথা উল্লেখ করে শরিফ আরও বলেন, কাশ্মীর আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা জিন্নাই বলে গিয়েছেন, কাশ্মীর হল পাকিস্তানের কণ্ঠনালী। কিন্তু দুর্ভাগ্যের হল এই যে, রাষ্ট্রসঙ্ঘের একাধিক প্রস্তাব সত্ত্বেও এবং গোটা বিশ্ব যাকে স্বীকৃতি দিয়েছে সেই কাশ্মীর সমস্যার আজও সমাধান হল না।
তদন্তের কথা বলেও প্রধানমন্ত্রীর দাবি, কোনও সন্দেহ নেই যে, কাশ্মীরি জনতার স্বশাসনের জন্য লড়াইয়ে পাকিস্তান চিরকাল সমর্থন জুগিয়ে যাবে। সংগ্রাম ও আত্ম বলিদান দিয়ে যতক্ষণ না তারা কাশ্মীরের স্বাধীনতা হাসিল করছে ততদিন পর্যন্ত পাকিস্তান তাদের পাশে থাকবে। একই মুখে তিনি বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। রক্তপাতের রাজনীতির বিরুদ্ধে।
Advertisement
Advertisement