ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর জগন্নাথ ভক্তদের মধ্যে শুরু হয় প্রবল ক্ষোভ। বিবৃতি দেয় শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (SJTA)।
সংগৃহীত ছবি
শেষ আপডেট: 18 May 2025 16:03
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পুরীর এক রিসর্টে টেবিলে বসে জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ খাচ্ছে কোনও পরিবার, তাঁদের তা পরিবেশন করে দিচ্ছেন পুরীরই কোনও সেবাইত। এই দৃশ্য ধরা পড়েছে একটি ভিডিওতে। আর তাতেই রীতিমতো ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন বহু জগন্নাথ ভক্ত। কেন চটলেন সকলে? পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রীতি অনুযায়ী, মহাপ্রসাদ খাওয়া হয় মাটিতে বসে, ভক্তিভরে। কিন্তু সেই চিরাচরিত রীতি ভেঙেই টেবিলে খাওয়া মেনে নিতে পারছেন না একাংশ। অনেকে আবার পাণ্ডার এভাবে মহাভোগ পরিবেশন করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে, প্রায় ১০ জনের একটি পরিবার, যার মধ্যে শিশুরাও রয়েছে, টেবিলে বসে খাচ্ছেন মহাপ্রসাদ। একজন সেবায়েত তাঁদের পরিবেশন করছেন। সেই সময় এক ব্যক্তি তাঁদের এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুললে, এক মহিলা জানান, তাঁরা নাকি আগেই খোঁজখবর নিয়ে নিয়েছেন এবং সেই কারণেই টেবিলে বসে খাচ্ছেন।
পরে ওই ব্যক্তি সোজা প্রশ্ন করেন সেবাইতকে, তিনি কীভাবে এই রকম নিয়মভঙ্গ মেনে নিলেন? সেই প্রশ্ন-উত্তরের মুহূর্তও ধরা পড়ে ক্যামেরায়।
ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর জগন্নাথ ভক্তদের মধ্যে শুরু হয় প্রবল ক্ষোভ। বিবৃতি দেয় শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন (SJTA)। তাঁরা জানান, 'প্রভুর মহাপ্রসাদ হল অন্নব্রহ্ম। সেই কারণে একে সর্বোচ্চ ভক্তি ও মর্যাদার সঙ্গে গ্রহণ করতে হয়। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী, মাটিতে বসেই মহাপ্রসাদ খাওয়ার নিয়ম চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। টেবিলে বসে খাওয়া ঐতিহ্য ও আস্থার পরিপন্থী।'
এসজেটিএ-র তরফে আরও জানানো হয়েছে, তাঁরা ভিডিওটি দেখেছেন এবং এই ঘটনার কারণে ভক্তদের মধ্যে অসন্তোষ ছড়িয়েছে। এর প্রেক্ষিতে কর্তৃপক্ষ সব ভক্তকে অনুরোধ করেছেন, যেন কেউ এমন কাজ না করেন যা মন্দিরের দীর্ঘদিনের রীতির বিরুদ্ধে যায়।
ଭିଡ଼ିଓ ରେ ଦେଖନ୍ତୁ ସେ ହୋଟେଲର କର୍ମଚାରୀ ମନା କରିବା ସତ୍ତ୍ବେ ସେମାନେ କିପରି ଡାଇନିଂ ଟେବୁଲ ଉପେର ମହାପ୍ରସାଦ ବାଢ଼ି ଗୋଡ଼ ହଲେଇ ମୋବାଇଲ ଚଲାଇ ପାଉଛନ୍ତି..ଆଉ ତହୁଁ ବଡ଼ ସେ ବ୍ରାହ୍ମଣ ମହାଶୟ ଯିଏ ମହାପ୍ରସାଦ ତାଙ୍କୁ ବାଢ଼ିକି ଦେଇଛନ୍ତି।ଆଉ ସେ ଦାଢ଼ିଆ ବାବା ସବୁ ଦେଖି ମଧ୍ଯ ଚୁପ ହୋଇ ଠିଆ ହୋଇଛନ୍ତି।ଦୋଷ କାହାକୁ ଦେବେ? pic.twitter.com/ktH4KLpTkd
— 🦋šrαdhα🦋 (@princess_sradha) May 16, 2025
শুধু তা-ই নয়, পুরীর সমস্ত হোটেল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে, তাঁরা যেন পর্যটকদের সচেতন করেন এমন নিয়ম নিয়ে। এমন ঘটনার সঙ্গে স্থানীয় আবেগ ও ধর্মবিশ্বাস গভীরভাবে জড়িত তাই এই ধরনের কর্মকাণ্ড এড়িয়ে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ভক্তরা মনে করেন, মহাপ্রসাদ কেবল খাবার নয়, তা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আর সেই আশীর্বাদকে যথাযথ সম্মান জানানোই প্রত্যেক ভক্তের দায়িত্ব। সময়ের পরিবর্তনে রীতির পরিবর্তন হলে তা কেবল বিতর্ক নয়, আঘাত করে বিশ্বাসেও—পুরীতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক এই ঘটনা যেন তারই উদাহরণ। তবে, এনিয়ে ওই সেবাইতের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়েছে কিনা, তা জানা যায়নি।