শেষ আপডেট: 30th March 2024 18:01
দ্য ওয়াল ব্যুরো: দেশের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান 'ভারতরত্ন' প্রদান করলেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। শনিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আয়োজিত সংক্ষিপ্ত ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহ। দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী চৌধুরি চরণ সিং, পি ভি নরসিমা রাও, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুর, কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনকে মরণোত্তর 'ভারতরত্ন' দেওয়া হয় এদিন। প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আদবানি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে আসতে পারেননি। সম্ভবত তাঁর বাড়িতে গিয়ে আদবানিকে সম্মানিত করবেন মুর্মু।
চৌধুরি চরণ সিংয়ের হয়ে মরণোত্তর ভারতরত্ন গ্রহণ করছেন তাঁর নাতি জয়ন্ত চৌধুরি। চরণ সিং ১৯৭৯ সালের ২৮ জুলাই থেকে ১৯৮০-র ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদে ছিলেন। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদেও ছিলেন কিছুকাল। কৃষক, জাঠ সমাজের পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি।
কৃষিবিজ্ঞানী এম এস স্বামীনাথনের হয়ে মরণোত্তর ভারতরত্ন গ্রহণ করছেন তাঁর কন্যা নিত্যা রাও। দেশের কৃষিক্ষেত্রে বিপ্লব সৃষ্টিকারী এই বিজ্ঞানী জমি ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধিতে এবং গমের বিভিন্ন প্রজাতি উদ্ভাবন করে ভারতকে খাদ্য উৎপাদনে স্বনির্ভর করেছিলেন।
সমাজতন্ত্রী নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরের হয়ে ভারত রত্ন সম্মান গ্রহণ করছেন তাঁর ছেলে রামনাথ ঠাকুর। 'জননায়ক' কর্পূরী ঠাকুর দুবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হন। দলিত ও পিছড়েবর্গ সমাজের অধিকার আদায়ে আমৃত্যু লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন ক্ষৌরকার সম্প্রদায়ের এই নেতা।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী পি ভি নরসিমা রাওয়ের ছেলে পি ভি প্রভাকর রাও রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ভারত রত্ন সম্মান নিচ্ছেন। ভারতীয় রাজনীতিতে 'চাণক্য' বলে খ্যাত রাও ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর আমলেই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা দুবারের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং আর্থিক সংস্কার ঘটিয়েছিলেন এদেশে।