মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্র মোদী, কেজরিওয়াল এবং প্রশান্ত কিশোর
শেষ আপডেট: 2nd November 2024 13:09
দ্য ওয়াল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের গত বিধানসভা ভোটের পরপরই তৃণমূলের পরামর্শদাতার ভূমিকা থেকে সরে এসেছিলেন ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোর। শুধু বাংলা নয়, বিগত এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বহু রাজনীতিককে কুর্সিতে বসানোর কারিগর প্রশান্ত কিশোর। দিল্লির মসনদ হোক বা নীলবাড়ি, ভোটকুশলী প্রশান্তের পারিশ্রমিক কত? সেই বিষয়েই মুখ খুললেন তিনি।
গান্ধী জয়ন্তীর দিন পাটনার ভেটেরনারি কলেজের মাঠ থেকে তাঁর রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা করেন প্রশান্ত। দলের নাম রেখেছেন ‘জন সুরজ পার্টি’ তথা জেএসপি। শুক্রবার বিহারের বেলাগঞ্জে দলের এক কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি জানান, কম করে ১০ টি রাজ্যের সরকার তাঁর পরামর্শে তৈরি হয়েছে। কেবল একটি নির্বাচনে পরামর্শ দিতেই তিনি ১০০ কোটি বা তারও বেশি পারিশ্রমিক নিয়েছেন। মোদ্দা কথা বাংলার শাসকদল তৃণমূলকেও নবান্ন দখলে এই পরিমাণ টাকাই দিতে হয়েছিল।
সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ভোটকুশলী বলে পরিচিত ছিলেন প্রশান্ত। অতীতে নরেন্দ্র মোদীর প্রচারের কৌশল সামলেছেন তিনি। আবার ২০২১ সালে বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রচারের কৌশল নির্ধারণও করেছিলেন প্রশান্ত। তা ছাড়া অরবিন্দ কেজরিওয়াল, স্টালিন, কে চন্দ্রশেখর রাও, জগন্মোহন রেড্ডির জন্যও প্রশান্ত কাজ করেছিলেন। কিন্তু তিনি এখন পুরোদস্তুর রাজনীতিক।
গত লোকসভা ভোটে বাংলায় আঠারোটি আসনে জিতেছিল বিজেপি। সেই ধাক্কা সামলাতে প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের ঘরের ছেলে হয়ে উঠেছিলেন পিকে। তা এতটাই যে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকের মঞ্চেও দেখা গেছিল তাঁকে। লোকসভা ভোটের আগে তাঁর দাবি ছিল, বাংলায় ভাল ফল করবে বিজেপি।
কিন্তু, বাংলায় বিজেপির ভোট সম্ভাবনা নিয়ে প্রশান্ত কিশোরের পূর্বানুমান মেলেনি। উত্তরপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র নিয়েও তাঁর অনুমান ডাহা ফেল করে যায়। ফলে প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকের বিশ্বাসযোগ্যতাই বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছিল।